মাইকিং করে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি

বরগুনা পৌর মাছ বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রির জন্য ভ্যানে করে পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে মাইকে প্রচার চালাচ্ছেন এক মাছ ব্যবসায়ী। আজ সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পর থেকে পৌর শহরে বিভিন্ন স্থানে এবং গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা গ্রামে ব্যাটারি চালিত ভ্যানে করে চিংড়ি মাছ বিক্রির জন্য মাইকে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে এক মাছ ব্যবসায়ীকে।

চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী এনামুল বলেন, বরগুনার স্থানীয় চিংড়ি মাছ বাজারে সকাল থেকে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি কেজি। আমরা খুলনা থেকে বরফ দিয়ে কম দামে মাছ কিনে বরগুনা সহ পার্শ্ববর্তী উপজেলায় স্থানীয় বাজারের তুলনায় কমে বিক্রি করে থাকি। কারণ আমাদের কেনা কম বিক্রি বেশি। মাইক দিয়ে মাছ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমান মাছ থাকার কারণে গ্রাহককে আকৃষ্ট করতে এবং বেশি মানুষকে জানাতে আমরা অটো চালিত ভ্যানে মাইক দিয়ে প্রচার করে থাকি এতে আমাদের বিক্রি বেশি হয়।

স্থানীয় চিংড়ি মাছ বিক্রেতা জব্বার আকন জানান, খুলনা থেকে আসা বরফ যুক্ত নরম চিংড়ি মাছ কম দামে বিক্রি করার কারণে বরগুনার স্থানীয় চিংড়ি মাছের ক্রেতা নাই বললেই চলে। একই স্থানে আলাদা দামে চিংড়ি মাছ কিনতে আসা ক্রেতা বিভ্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি। কাশেম হাওলাদার বলেন, বাজারে ৪০০ টাকা কেজি চিংড়ি মাছ গুণে-মানে ভালো মনে হচ্ছে না একটু নরম এবং পঁচা মনে হচ্ছে। তবুও ৪০০ টাকায় কিনতে পেরে আমি তিন কেজি কিনেছি। এ মাছ অন্যান্য সময় দাম বেশি থাকে বিধায় একসাথে তিন কেজি মাছ সংগ্রহ করছে বলে জানান তিনি।

মৎস্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত এক দশকে দেশে চাষকৃত চিংড়ির উৎপাদন বাড়লেও সমুদ্র থেকে আহরণকৃত চিংড়ির পরিমাণ কমেছে অন্তত ১০ হাজার টন। ছোট ও স্বল্প মূল্যের মাছের যে প্রজাতিগুলো বড় মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেগুলোও বিপুল পরিমাণে ধরা পড়ছে। তথ্য-ডেইলি বাংলাদেশ

আজকের বাজার/আখনূর রহমান