মার্কিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার বাড়িতে হাসপাতালের যত্ন নিচ্ছেন

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারকে তাঁর বাড়িতেই হাসপাতালের যত্ন নেয়ার সুবিধা দেয়া হয়েছে।
তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৯৮ বছর বয়সী কার্টার তাঁর বাড়িতে হসপিস কেয়ার পাচ্ছেন, যেখানে তিনি তার জীবনের ‘বাকি সময়’ কাটাবেন। তার অলাভজনক ফাউন্ডেশন শনিবার এ কথা জনিয়েছে।
কার্টার যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কার্টার তাঁর স্ত্রী রোজালিনের সাথে জর্জিয়ার প্লেইন্সে থাকেন।
সেই গ্রামেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং গভর্নর হওয়ার আগে চিনাবাদাম চাষী হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং পরে ডেমোক্রেটিক মনোনীত প্রার্থী হিসাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
কার্টার সেন্টার টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ধারাবাহিকভাবে হাসপাতালে থাকার পর, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আজ তার পরিবারের সাথে বাড়িতে অবশিষ্ট সময় কাটানোর এবং অতিরিক্ত চিকিৎসা হস্তক্ষপের পরিবর্তে হসপিক পরিচর্যা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কার্টার মানবাধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, প্রেসিডেন্টের প্রথম দুই বছর তিনি তাঁর শক্তিশালী অবস্থান উপভোগ করেছিলেন, যার মধ্যে ইসরায়েল এবং মিশরের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির মধ্যস্থতা অন্তর্ভুক্ত ছিল যা ক্যাম্প ডেভিড অ্যাকর্ডস নামে পরিচিত।
কিন্তু তার প্রশাসন অসংখ্য বাধার সম্মুখীন হয়, সবচেয়ে গুরুতর ছিল ইরানে মার্কিন জিম্মিদের উদ্ধার করা এবং ১৯৮০ সালে ৫২ বন্দী আমেরিকানকে উদ্ধারের বিপর্যয়কর ব্যর্থ প্রচেষ্টা।
সেই বছরের নভেম্বরে, রিপাবলিকান প্রতিদ্ব›দ্ধী রোনাল্ড রিগান ভোটে কার্টারকে পরাজিত করেন, তাকে একক মেয়াদে অব্যাহতি দেন। রিগান কট্টর রক্ষণশীলতার জোরালো সমর্থন নিয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহন করেন।
তিনি ১৯৮২ সালে বিশ্ব কূটনীতিতে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করার জন্য কার্টার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার প্রচারে তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার জন্য তিনি ২০০২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন।