মার্চের ক্রয় সংক্রান্ত সভায় যাচ্ছে না ১০ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রস্তাব!

ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক আরও ১০টি নতুন পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে এক হাজার মেগওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার। প্ল্যান্টগুলোর সর্বনিম্ম দরদাতাদের প্রস্তাব আগামী ২৯ মার্চ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় যাওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত ক্রয় সংক্রান্ত ২৯ মার্চের মন্ত্রিসভায় নাও যেতে পারে সর্বনিম্ম দরদাতাদের প্রস্তাব।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে পরবর্তী কোনো সভায় এ প্রস্তাব অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।

সূত্র মতে, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সরকারি কাজে গত ১৮ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় গেছেন। আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবেন তিনি। তাই এই বিভাগের কোনো এজেন্ডা আগামী ২৯ মার্চের সভার তালিকায় না রাখার আবেদন করা হয়েছে। তবে পরবর্তী সভায় এজেন্ডাভুক্ত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।

ক্রয় কমিটিতে পাঠানোর বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ড. আহমদ কায়কাউস অর্থসূচককে বলেন, নতুন ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের যে আবেদন প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে- সেগুলো পর্যায়ক্রমে ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে পাঠানো হবে।

তবে কোন কমিটিতে কতটি যাবে- সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।

সূত্র মতে, নতুন পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ১০টি আবেদনের মধ্যে সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব ও অন্যান্য যোগ্যতার ভিত্তিতে বিপিডিবির বাছাইয়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানির সহযোগী বা যৌথ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো হলো- শাশা ডেনিমস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনার্জিস পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড; কনফিডেন্স সিমেন্ট এবং ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস।

এর মধ্যে শান্তাহার ও বাগের হাট দুটি প্ল্যান্টের জন্য বিপিডিবির তালিকায় আছে এনার্জিস পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড। এছাড়া কনফিডেন্স সিমেন্টের যৌথ উদ্যোগে রংপুর ও বগুড়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং চাঁদপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের নাম তালিকাভুক্ত করেছে বিপিডিবি।

অন্য ৫টি পাওয়ার প্ল্যান্টের মধ্যে আনোয়ারা ও জামালপুর প্ল্যান্টের জন্য তালিকায় আছে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজেস। এছাড়া চৌমুহনী, বাগেরহাট ও ঠাকুরগাঁও প্ল্যান্টের জন্য যথাক্রমে এনার্জি প্রিমা, এক্সসিইএল লিমিটেড এবং এনার্জি প্যাকের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল নাগাদ উত্পাদন শুরুর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের দরপত্র আহ্বান করে বিপিডিবি। ২০১৫ সালে ডলারের বিপরীতে ৭৮ টাকা ৬৬ পয়সা বিনিময় হার ধরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দর ১০ দশমিক ৪৩ সেন্ট ধার্য করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডলারের বর্তমান বিনিময় হার হিসাব করে দর প্রস্তাব করে দেশি বেশ কয়েকটি কোম্পানি। কয়েকটি বিদেশি কোম্পানিও দর প্রস্তাব করেছিল।

ওই সব কোম্পানি থেকে বাছাই করে গত নভেম্বরে ছয়টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য একটি প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আরেকটি কেন্দ্রের জন্য প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয়। সর্বশেষ ৮ ডিসেম্বর বাকি তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্যও সর্বনিম্ন দর প্রস্তাবকারীদের বাছাই করা হয়। পুরো তালিকাটিই বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠায় বিপিডিবি।