মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকরের চিঠি কারাগারে

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ফাঁসি কার্যকরের চিঠি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে।

আজ সোমবার সকাল ১০টার পর চিঠিটি কারাগারে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কারা অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (প্রিজনস) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চিঠি পৌঁছেছে। এখন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফাঁসির কার্যকরের সময় ঠিক করা হবে।

কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কারাবিধি অনুযায়ী যেদিন মৃত্যুপরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়, সেদিন থেকে ২১ দিনের আগে নয়, ২৮ দিনের পরে নয়, এমন হিসাব করে রায় কার্যকর করা হয়। গত ২১ মার্চ মুফতি হান্নান ও তাঁর দুই সহযোগীকে মৃত্যুপরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিলেন তা রাষ্ট্রপতি খারিজ করে দিয়েছেন। এখন কারাগার তার ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ রায় কার্যকরের জন্য জেলকোড অনুযায়ী যা যা করা দরকার সে প্রক্রিয়াগুলো শেষ করে তার ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি হান্নানসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ আপিলেও বহাল রাখেন। এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেন মুফতি। তবে সেই আবেদন খারিজ কর দেন রাষ্ট্রপতি।

১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। ২২ মার্চ তাকে কারাগারে রায় পড়ে শোনানো হয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তার দুই সহযোগীর একজন শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছে। তারা দুজনও প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন।

সিলেটের হযরত শাহজালালের (রা.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন।

ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।