মুমিনুলের বাদ পড়াটা ‘অবিচার’, বললেন আমিনুল ইসলাম।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন মুমিনুল হক। এ নিয়ে কোচ-নির্বাচকদের সমালোচনায় মেতেছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। টেস্ট ক্রিকেটে আলো ছড়িয়েছেন যে ব্যাটসম্যান, তাঁকেই কিনা মাত্র এক সিরিজের ব্যর্থতায় বাদ দেওয়া হলো! সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামও ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না। তাঁর চোখে এটি পরিষ্কার অন্যায়।

ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টে রান পাননি মুমিনুল হক। এতেই নাকি চৌদ্দজনের দলে ঢোকার জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন। একসময় এই মুমিনুলকে ঘিরেই টেস্টের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। ২৫ বছর বয়স, এখনই তো পরিপূর্ণ এক ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠার সময়। কিন্তু এ সময় তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া! এ যেন ডানা মেলার ঠিক আগমুহূর্তে ডানাই ছেঁটে ফেলা! কিংবা বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের চোখে, সুবাস ছড়ানোর আগেই কলি ছেঁটে ফেলা।

সাবেক অনেক তারকার সমালোচনায় এখন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। নির্বাচক হাবিবুল বাশারও বাদ পড়েননি সমালোচনার তির থেকে। বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ অধিনায়ক আমিনুল মুমিনুলের বাদ পড়াটাকে দেখছেন একটু অন্যভাবে। তাঁর মতে এটি অত্যন্ত পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারের প্রতি একধরনের অবিচার।

নিজের ফেসবুক পেজে আমিনুল লিখেছেন, ‘দুঃখিত মুমিনুল! আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। অত্যন্ত পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান এই ছেলেটিকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমার ক্যারিয়ারে এ ধরনের অবিচারের ঘটনা প্রচুর দেখেছি। তবু আমি মনে করি, মুমিনুলের ব্যাপারটি এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। কলি যখন ফুল হয়ে ফুটে সুবাস ছড়ানোর অপেক্ষায়, তখনই সে কলি ধ্বংস করে দেওয়ার এ প্রক্রিয়া আর কত দিন চলবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে?’

টেস্ট পারফরম্যান্সে অত্যন্ত ধারাবাহিক এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত টেস্টে টানা ১১টি ফিফটি করেছিলেন। খেলেছেন ১৮১ রানের ইনিংস। শুরুর সেই ধারাবাহিকতাটা সাম্প্রতিককালে না থাকলেও খুব খারাপও করছিলেন না। কিন্তু ২০১৭ সালে কয়েকটি টেস্টে ব্যর্থতার কারণেই দল থেকে ছেঁটে ফেলা হলো মুমিনুলকে।

আজকের বাজার: সালি / ২০ আগস্ট ২০১৭