মৃত ঘোষণার পর মর্গে জেগে উঠলো রোগী

স্পেনের একজন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে সম্প্রতি মৃত ঘোষণা করেন তিনজন ডাক্তার। এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর ময়নাতদন্ত করার জন্য তার ‘লাশ’ মর্গে নেয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে স্পেনের মিডিয়া।

স্পেনের অভিডো অঞ্চলের একটি মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য গঞ্জো মন্তোয়া হিমেনেজের ‘মৃতদেহ’ ব্যবচ্ছেদ করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। সৌভাগ্যক্রমে তার শরীর কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে নাক ডাকার শব্দ পাওয়া গেলে বেঁচে যান মৃত বলে ঘোষিত হিমেনেজ।
ঘটনাটি যতই অদ্ভুত লাগুক, বাস্তবে এমনটিই ঘটেছে বলে জানিয়েছে লা ভজ দো অস্ট্রিয়া।
ওই আসামির পরিবারকে কর্তৃপ জানিয়েছে, তারা মনে করেছিলেন সকাল ৮টায় হিমেনেজ তার সেলের মধ্যে মারা গেছেন।
স্পেনের টেলেসিনো চ্যানেল জানিয়েছে, তিনজন ডাক্তার ২৯ বছর বয়সী হিমেনেজকে পরীা করেন। কিন্তু তার শরীরে তখন তারা প্রাণের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাননি। ডাক্তাররা নিশ্চিত করার পর হিমেনেজের মৃত্যুর কারণ জানতে তার শরীর লাশ রাখার ব্যাগে ভরে মর্গে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

এল মাতিনো পত্রিকা জানিয়েছে, ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করার পর মর্গের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা লাশের ব্যাগের ভেতর নাক ডাকার শব্দ হচ্ছে শুনতে পান। তার শরীরও তখন নড়াচড়া করছিল।
হিমেনেজের এক ক্রুব্ধ আত্মীয় এল মাতিনোকে বলেন, ‘অস্ত্রপচারের ছুরি দিয়ে কাটার জন্য হিমেনেজের শরীরে দাগও দিয়ে হয়েছিল।’
প্রাণের সাড়া পাওয়ার পর দ্রুত হিমেনেজকে হাসপাতালের ইমারজেন্সি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে আইসিইউ-তে রাখা হয়।
হিমেনেজের পরিবার অভিযোগ করেছে, হিমেনেজেকে পরীা করার সময় অনিয়ম করা হয়েছে। তিনজন ডাক্তার হিমেনেজকে মৃত ঘোষণা করলেও, আসলে মাত্র এক জন ডাক্তার তাকে পরীা করেন। বাকি দুজন শুধু তাকে না দেখেই ডেথ সার্টিফিকেটে সই করেন।
মৃত ঘোষণার পরও আসামিকে জীবিত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এল স্প্যানিওল।

আজকের বাজার: ওএফ/ ১১জানুয়ারি ২০১৮