মেসির জোড়া গোলে বার্সেলোনার জয়

লিওনেল মেসির দুই গোলে বুধবার লা লিগায় এ্যাথলেটিকো বিলবাওকে ৩-২ ব্যবধানে পরাজিত করে শিরোপা স্বপ্ন ধরে রেখেছে বার্সেলোনা। এই জয়ে শীর্ষে থাকা এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের থেকে সাত পয়েন্টে পিছিয়ে ৩১ পয়েন্টসহ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে কাতালান জায়ান্টরা। যদিও রোনাল্ড কোম্যানের দলের থেকে দুই ম্যাচ কম খেলেছে এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।
গত সপ্তাহে বার্সা বস কোম্যান স্বীকার করেছিলেন শিরোপা জয় করা এবার সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে। কালকের এই জয়ের পর কোম্যান কিছুটা আশাবাদী হয়ে বলেছেন, ‘লিগে সব সময়ই সুযোগ উন্মুক্ত থাকে। আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যদিও এখনই চূড়ান্ত কিছু বলার সময় আসেনি। কোন একটি দল ভাল করবে, অন্যরা কিছুটা পিছিয়ে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
সান মামেসে গতকাল ইনাকি উইলিয়ামসের গোলে ৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। গোল হজমের যন্ত্রণা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি বার্সার। ১৪ মিনিটে ফ্রাংকি ডি জয়ংয়ের উঁচু ক্রস থেকে ছয় গজের বক্সে থাকা মিডফিল্ডার পেড্রি সেটা জালে জড়িয়ে দেন। এরপর বিরতির মিনিট সাতেক আগে ১৫ গজ দূর থেকে নেওয়া পেড্রির দুর্দান্ত ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি।
এরপর আর্জেন্টাইন তারকা হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেলেও পোস্ট ও ভিএআর তাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু সম্ভবত ৩৩ বছর বয়সী এই সুপারস্টারের মৌসুমের সেরা পারফরমেন্সে বার্সেলোনাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শুধুমাত্র ম্যাচের শেষের দিকে সামান্য কিছু ভুলে হতাশ হতে হয়েছে মেসিকে। তার একটি বাজে পাসে ৯০ মিনিটে ইকার মুনিয়ান বিলবাওকে দ্বিতীয় গোল উপহার দিয়েছিলেন। যদিও ম্যাচ শেষে এই গোলটি সান্তনা হিসেবেই রয়ে গেছে। বিলবাওয়ের দুটি গোলেই বার্সেলোনার রক্ষনভাগের ভুল ছিল।
কোম্যান বলেছেন, ‘বার্সেলোনা ক্রমেই উন্নতি করছে। খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ^াসও বাড়ছে। মাঝে মাঝে আমরা নিজেদের সেরার খুব কাছাকাছি চলে যাই।’
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মেসিকে আক্রমনাত্মক হয়ে খেলতে দেখা গেছে। গোলের জন্য মরিয়া মেসি সাফল্য পান ৬২ মিনিটে। এবার সমন্বিত আক্রমণের ফসল ঘরে তোলে বার্সা। পরস্পরের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করতে করতেই বক্সের সামনে থেকে মেসির দিকে ক্রস করেন আঁতোয়ান গ্রীজম্যান। আর বল পেয়েই চারদিকে ঘিরে থাকা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক উনাই সাইমনকে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
৭২ মিনিটে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন মেসি। বার্সা অধিনায়কের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর যখন শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা, ঠিক তখনই আবারও ডিফেন্সের ভুলে গোল খেয়ে বসে বার্সা। এবার মেসির ব্যাক পাস থেকে বল চলে যায় বিলবাওয়ের ইকার মুনিয়ানের পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাঁকানো শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন স্বাগতিক দলের মিডফিল্ডার।