শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে চট্রগ্রামে ঢাকার প্রথম জয়

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ১৭তম ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় পেয়েছে ঢাকা প্লাটুন। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ণ ম্যাচে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেটে। হাতে ছিল মাত্র ১ বল।

কুমিল্লার দেয়া ১৬১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় ঢাকা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান আনামুল হক বিজয়। তবে এরপর ঝড় শুরু করেন মাহেদী হাসান। তামিমের সঙ্গে গড়েন ৮৩ রানের জুটি।

আল আমিনের বলে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৫৯ রান করেন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মাহেদী। কিন্তু তার বিদায়ের পরই ছোট ব্যাটিং ধসের সম্মূখীন হয় ঢাকা প্লাটুন। এক উইকেটে ৮৪ থেকে তারা পরিণত হয় ৪ উইকেটে ৮৮ রানে। পরপর দুই বলে উইকেট নেন মুজিব-উর-রহমান। শূণ্য রানে ফেরেন আসিফ আলী ও জাকের আলী।

মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে ধস সামাল দিলেও ব্যাট হাতে হতাশাই উপহার দিয়েছেন তামিম ইকবাল। আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে ৩৪ রান করেন তিনি, যা টি-টোয়েন্টির যুগে বড্ড বেমানান।

শহীদ আফ্রিদী ও মুমিনুলের ব্যাটে এরপর লক্ষ্য তারায় ভালোভাবেই এগোতে থাকে ঢাকা। শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। মাত্র এক বল বাকী থাকতে জয় নিশ্চিত হয় তাদের। মুমিনুল ও আফ্রিদী অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২৮ ও ২৬ রানে।

এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। মাত্র ৫৭ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সৌম্যরা। সৌম্য সরকার ১০, সাব্বির ০ ও ডেভিড মালান ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।

তবে এরপর ম্যাচে আলো একাই কেড়ে নেন ওপেনার ভানুকা রাজাপাকসে। ইয়াসির আলীকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০৩ রান তোলেন ভানুকা। তার ৬৫ বলে খেলা ৯৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেটে ১৬০ রান তোলে কুমিল্লা। তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৪টি চার ও ৭টি ছয়ের মারে।

অপরপ্রান্তে ২৭ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন ইয়াসির আলী। কুমিল্লার সফলতম বোলার মেহেদী হাসান ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।

আজকের বাজার/আরিফ