যথাযথ সামরিক মর্যাদায় এরশাদের দাফন সম্পন্ন

যথাযথ সামরিক মর্যাদায় মঙ্গলবার বিকালে সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

বিকাল ৫টা ৫৩ মিনিটে রংপুরে গ্রামের বাড়ি পল্লীনিবাসের লিচু বাগানে তাকে দাফন করা হয়। প্রথমে এরশাদকে গান ক্যারেজে বহন করে কফিন কবরের পাশে নেয়া হয়। এরপর জাতীয় পার্টি প্রধানের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনানো হয়। এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে শুরু হয় দাফন প্রক্রিয়া। খবর ইউএনবি।

এর আগে দুপুর ২টা ২৮ মিনিটের দিকে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে সাবেক এ সেনাপ্রধানের চতুর্থ ও শেষ দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা এরশাদকে ঢাকার সামরিক কবরস্থানে দাফনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে জাতীয় পার্টি রংপুর শাখা তাদের প্রিয় নেতাকে এরশাদের গ্রামের বাড়ি পল্লীনিবাসে দাফনের ঘোষণা দেয়।

পরে রংপুরের গণমানুষের আবেগ ও ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এরশাদকে রংপুরেই দাফন করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় পার্টি। এতে সম্মতি দেন তার স্ত্রী রওশন এরশাদও।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে এরশাদের কফিন ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে রংপুরে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পার্টির প্রধানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছায়।

৮৯ বছর বয়সী সাবেক সেনাশাসক ও পাঁচবারের সাংসদ এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গত ২৬ জুন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। গত ৪ জুলাই থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। রবিবার সকালে সাবেক স্বৈরশাসক এরশাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

একই দিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে এরশাদের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। সোমবার সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এরশাদের দ্বিতীয় ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়।

বুধবার ঢাকার গুলশানের আজাদ মসজিদে এরশাদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ