যানবাহনের ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়াতে হাইকোর্টের নির্দেশ

আনফিট গাড়ি সড়কে চলছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী দুইমাসের মধ্যে যানবাহন ফিটনেস টেস্টিং সেন্টার বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রুলের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট তানভীর আহমেদ।

তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দেশের সড়কে প্রায় ৪০ লাখ গাড়ি চলাচল করে। সড়কগুলোতে কী ধরনের গাড়ি চলছে, তা পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশে ফিটনেস টেস্টিং সেন্টারের সংখ্যা অপ্রতুল। এ বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেছি।

২০১৮ সালের ৩১ জুলাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ফিটেনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদিদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে গণপরিবহনের ফিটনেস নিশ্চয়তা ও নজরদারিতে বিবাদিদের ব্যর্থতাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক, বিআরটিএর ইনফোর্সেমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ২০১৮ সালের ৯ জুলাই বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়। দশ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে যানবাহনের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ফিটনেস জরিপে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানাতে বলা হয় নোটিশে। নোটিশের জবাব না পেয়ে ২৬ জুলাই রিটটি করা হয়।