যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোয় ৭০ জনেরও বেশী লোকের প্রাণহানি

টর্নেডোর আঘাতে রাতারাতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্য। শনিবার কেন্টাকিতে ৭০ জনেরও বেশী লোক মারা গেছে এবং ইলিনয়ের আমাজানের (ইলেক্ট্রনিক কমার্স কোম্পানি) ‘ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত’ একটি গুদামে অনেকের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ১০০ লোক ভেতরে আটকা পড়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, কেন্টাকির পশ্চিমাঞ্চলীয় মেফিল্ড শহর ছিল ঝড়ের ‘গ্রাউন্ড জিরো’-সেখানে ব্যাপক ধ্বংসের দৃশ্য দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, ‘সেখানকার শহরের পুরো ব্লকগুলো ধসে পড়েছে, বাড়িঘর এবং ভবনগুলো ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বিভিন্ন ধাতব টুকরো, গাছের ডালপালা, ইট রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।’
মেরিল্যান্ডে মিডডে সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এন্ডি বেসহেয়ার বলেন, “আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা ৫০ জনের বেশী কেন্টাকিয়ানকে হারাবো। আমি এখন নিশ্চিত যে সেই সংখ্যা এখন ৭০ জনের বেশী। দিন শেষ হওয়ার আগে এটি আসলে ১০০ জন ছাড়িয়ে যেতে পারে।”
এর আগে বেসহেয়ার বলেন, মেফিল্ডে একটি মোমবাতি কারখানার ছাদ ধসে পড়ে, এতে সেখানে ‘ব্যাপক হতাহতের’ ঘটনা ঘটে।
কাউন্টির এক কর্মকর্তা বলেন, আরকানসাসের মোনেট্টি শহরের একটি নাসিংহোম টর্নেডোয় ধ্বংস হলে সেখানে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে অঙ্গরাজ্যের অন্যত্র আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মিসৌরি এবং টেনেসির শহরগুলো বছরের পর বছর ভয়ঙ্কর টর্নেডোর ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইটে বলেছেন, ভয়ঙ্কর ঝড় এই এলাকায় একটি ‘অকল্পনীয় ট্রাজেডি’ সৃষ্টি করেছে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদানের অঙ্গীকার প্রকাশ করেছেন তিনি।
কেন্টাকি গভর্নর বেসহেয়ার বলেন, টর্নেডো প্রথম মিসৌরিতে আঘাত হানে, সেখানে টর্নেডোর গতি ছিল ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটারের বেশী।