রাজনীতিতে শিশুদের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ

রাজনীতিতে শিশুদের ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করেছেন শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞরা ।

সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি’ বিষয়ক প্রতিবেদনের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তারা এ সুপারিশ করেন। সংবাদপত্র বিশ্লেষণ ও বিশেষজ্ঞ অভিমত নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠটির পরিচালক গভর্ন্যান্স ড. তোফায়েল আহমেদ, বোর্ড সদস্য পারভীন মাহমুদ এবং কর্মসূচি সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল মামুন।

শাহীন আনাম বলেন, ২০১৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিলো। তাই কঠিন আইন করে রাজনীতিতে শিশুদের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সব রাজনৈতিক দলকে শিশুদের সঙ্গে আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।

তিনি বলেন, কিছু টাকা দিয়ে শিশুদের দিয়ে ঢিল ছোঁড়া, অস্ত্র ব্যবহার করা এবং মারামারি করিয়ে রাজনীতিতে শিশুদের ব্যবহার করা হয়।

রাজনীতিতে শিশু ব্যবহার বন্ধে সরকারি উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সরকার বেশ কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৫ সালের সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়ে মোট ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১০৪ জন। এর মধ্যে ১৫ জন শিশু মৃত্যুবরণ করে এবং আহত হয় ৯১জন শিশু। ২০১৪ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ছিলো ৫১ জন।

এতে সংবাদপত্রে শিশু বিষয়ক ইতিবাচক ও নেতিবাচক সংবাদের একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়।

এতে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ছয়টি জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে উপস্থাপিত পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে নেতিবাচক সংবাদ কম প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে নেতিবাচক ঘটনার সংবাদ বিশ্লেষণে সড়ক দূর্ঘটনা, দূর্ঘটনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যৌন নির্যাতন, ধর্ষন, হত্যা, বাল্যবিবাহ, অপহরণ, পাচার, এ্যাসিড নিক্ষেপ, রাজনৈতিক সহিংসতা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।