রাজশাহীতে মহাপরিকল্পনা না মেনে ভূমি ব্যবহারে জেল-জরিমানা

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তপক্ষ (আরডিএ) আওতাধীন এলাকায় মহাপরিকল্পনা না মেনে ভূমি ব্যবহার করলে, সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড পেতে হবে।
এমন বিধান রেখে ‘রাজশাহী উন্নয়ন কর্তপক্ষ আইন, ২০১৭’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

সচিব বলেন, রাজশাহী টাউন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্সটি ১৯৭৬ সালের। সামরিক শাসনামলের আইন পরিবর্তন করে, নতুন আইন করার বাধ্যবাধকতা আছে, সে কারণেই এটা করা হয়েছে। অর্ডিন্যান্সটি খুব বেশি পরিবর্তন করা হয়নি

খসড়ায় জলাধারের সংজ্ঞা জলাধার আইন থেকে এনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় উল্লেখিত বা চিহ্নিত কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ভূমি ব্যবহার করে তাহলে, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য তিনি সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এটাই নতুন সংযোজন।’

এর আগে গত বছরের ২০ জুন এ আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তখন  এ আইনে শুধু ৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিল।

শফিউল আলম বলেন, ‘রাজশাহী মাস্টার প্ল্যানের আওতায় চলবে। মহাপরিকল্পনা কিভাবে করতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জলাধার খনন বা ভরাট, পাহাড় বা টিলা কাটা এসব কাজ করলে, মালিককে এটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিতে পারবে কর্তৃপ। যদি এটা কেউ লঙ্ঘণ করে, তবে এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।’

নিচু জমি ভরাট ও পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত করার েেত্রও একই শাস্তির কথা নতুন আইনে বলা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন চূড়ান্ত অনুমোদন

এছাড়া ‘বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৭’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শফিউল আলম বলেন, ‘১৯৮২ সালের অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড পরিচালিত হচ্ছে। নতুন আইনে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। মূলত ওইটাকে ইংরেজি থেকে বাংলা করে নতুন আইনটি নিয়ে আসা হয়েছে।’

নতুন আইনে কিছু জিনিস হালনাগাদ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে বিধান ছিল বোর্ড বছরে ছয়বার ও দুই মাসে একবার সভা করবে। এটাকে পরিবর্তন করে প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতি ৬ মাসে বোর্ডের কমপে একটি সভা হবে।

মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে ৫ জনের কম হলে, কোরাম হত না, এখন প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, এক তৃতীয়াংশ সদস্য যদি উপস্থিত থাকে, তবে কোরাম হবে।’

‘আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪’ এর বিধানাবলী ‘আয়কর আইন, ২০১৭’ হিসেবে পাস করার প্রস্তাবও নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

অধ্যাদেশটি সামরিক শাসনামলে পড়ে গেছে, এটা পরিবর্তন করার আবশ্যকতা রয়েছে। ১৯৮৪ থেকে অধ্যাদেশের যত সংশোধন হয়েছে সবগুলোকে একত্রিত করে একটা সমন্বিত আইন করা হয়েছে। সময় না থাকায় এটা আপাতত ইংরেজিতে করা হয়েছে, পরে বাংলায় করা হবে। নতুন আইনে, কোন পরিবর্তন আইন হয়নি।

পরে, শ্রদ্ধার সঙ্গে মুজিবনগর দিবস পালন করায়, জাতিকে অভিনন্দন জানায় মন্ত্রিসভা।

আজকের বাজার রিপোর্ট: এলকে/আরআর/১৭.০৪.২০১৭