রাতের অন্ধকারে কুমিল্লার সৌন্দর্য

শুধু দিন নয়, রাতের বেলায়ও কুমিল্লা শহরের কোলাহল মুক্ত কুমিল্লা দেখতে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ও আলোর ঝলকানিতে সৌন্দর্য মন্ডিত শহরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত বিভিন্ন ভাস্ককার্যগুলোতে কালারফুল লাইটিং, রাস্তার মোড়ে মোড়ে হরেক রঙের বাতির ঝর্ণার ফোয়ারাসহ আলোর ঝলকানিতে মুগ্ধ নগরবাসী। সরেজমিনে কুমিল্লার নগরীর সুজানগরের মোড়ে নিয়ন লাইট দিয়ে পুরো শহীদ মিনার এর বর্ডার স্বজ্জিত যেন মনে হচ্ছে লাইট দিয়ে করা শহীদ মিনার। রাতে শহীদ মিনারের আলো ঝলকানি পথচারীদের মুগ্ধ করেছে। নগরীর তেলিকোনায় আমীর মোহাম্মদ দিঘীর পাড়ের বিভিন্ন রকমের রং বে রং এর গোল সারি সারি লাইট গুলো দূথেকে যেন চাঁদের মত দেখায় তাছাড়া লাল, সবুজ কমলা নীল রঙের লাইট দিয়ে বিভিন্ন কালারের পাতা, ফুলগুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর দেখায়। নগরীর রাজগঞ্জ চৌরাস্তার মোড়ের শাপলা চত্বরট রাতের বেলায় ঝলমল করে। কুমিল্লা ঈদগাহ, শিল্পকলা একাডেমি, সার্কিট হাউস এবং প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সম্বলিত মুক্তিযুদ্ধের অবদানের জন্য যারা জীবন উৎসর্গকারী বীরদের নিয়ে যে ভাস্কর্যের ছবি সম্বলিত গোল চত্বরের ঝর্ণার লাইটিংটি অত্যন্ত মনোগ্ধকর। কুমিল্লার প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় মোড়ে অবস্থিত ঝর্ণার ফোয়ারা গুলো অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর এ পথে যাওয়া যে কাররই নজর কাঠবে। নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম তিনি তার নিকটতম এক আত্মীয় অসুস্ততার কারণে কুমিল্লায় আসলে কথায় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, সত্যি চমৎকার লাগছে। রাতের কুমিল্লায় বিভিন্ন জায়গায় মোড়ে লাইটের ফোয়াড়া, ঝর্ণা এবং রাতার অলি গলিতে চাকচিক্যময় লাইটিং দেখে মন ভরে গেছে আমার।

ট্রেনেযোগে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় মামার বাড়িতে আসা চট্টগ্রাম কর অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মোঃ মিজানুর রহামান বাসসকে বলেন, কুমিল্লার এসকল অঞ্চলের আলোকস্বজ্জার করণে শহটিকে দেখতে এখন অনেক সুন্দর দেখায়। রাতের কুমিল্লাকে না দেখলে সত্যিই খুব মিস করতাম।

এছাড়াও শহরের দারোগাবাড়ী পুকুর, নানুয়া দিঘি পাড়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইন্টার মিডিয়েট শাখার রানী দিঘির, মৌলভী পুকুর পাড়, নগরীর ধর্মসাগর পাড়, নগর উদ্যানের সাথে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ নগরীর কুমিল্লা পার্ক রোডের ভাষা চত্বরের যে ভাবে আলোক সজ্জা করা হয়েছে তাতে রাতের কুমিল্লাকে দেখলে যে কারই মনে হবে একটি পূরিপূর্ণ আলোকিত শহর।

কুমিল্লার এসকল সৌন্দর্য, স্থাপনা ও লাইটিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু বাসসকে বলেন, আমি চেষ্টা করি আমার যতটুকু সম্ভব নগরীটাকে সুন্দর করার চেষ্টা করি। মুক্তিযোদ্ধাগন দেশের সূর্য সন্তান তাঁদের স্মৃতি রক্ষায় যদি সামান্য অবদান ও রাখতে পারি এর চেয়ে আর বড় পাওয়া কি আছে। এ চিন্তা থেকে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান