রাব্বি-তামিম নৈপুন্যে বরিশালের প্রথম জয়

পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির বোলিং ও অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল ফরচুন বরিশাল।
আজ দিনের দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে তামিমের দল বরিশাল ৫ উইকেটে হারিয়েছে শান্ত-আশরাফুলের মিনিস্টার রাজশাহীকে। প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর হারের স্বাদ নিলো রাজশাহী। আর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয়ের স্বাদ নিলো বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে বরিশাল। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রান যোগ করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। দু’জনই ২৪ রান করে আউট হন।
দুই ওপেনারের পর রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ আশরাফুল ব্যর্থ হয়েছেন। দু’জনই ৬ রান করে থামেন। ব্যর্থ হয়েছেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানও। রানের খাতাই খুলতে পারেননি তিনি। তাকে শিকার করেন পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। ফলে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে রাজশাহী।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন ফজলে মাহমুদ ও মেহেদি হাসান। মারমুখী মেজাজে ছিলেন মেহেদি। ৩টি ছক্কায় বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি।
৩১ রান করা ফজলে আউট করে জুটি ভাঙ্গেন বরিশালের পেসার তাসকিন। এরপর মেহেদিসহ টেল-এন্ডারদের আউট করে রাজশাহীর বড় স্কোরের পথ বন্ধ করে দেন রাব্বি। ২৩ বলে ৩৪ রান করেন মেহেদি। রাজশাহী করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩২ রান। ৪ ওভারে ২১ রানে ৪ উইকেট নেন রাব্বি।
১৩৩ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বরিশাল। ১ রান করে ফিরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথে রাখেন তামিম।
ইমনকে ব্যক্তিগত ২৩ রানে বোল্ড করে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রাজশাহীর মেহেদি। আর মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয়কে ১৭ ও আফিফ হোসেনকে থামান মুকিদুল। সাথে ইরফান শুক্কুর ৩ রানে রান আউট হলে চাপে পড়েছিলো বরিশাল।
শেষ ১১ বলে ৮ রান দরকার পড়ে বরিশালের। হাফ-সেঞ্চুরি তুলে অন্যপ্রান্তে বরিশালের আশা হিসেবে জ্বলে ছিলেন তামিম। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে দলকে জয়ের কাছে পৌছে দেন তামিম। আর ঐ ওভারের শেষ বলে চার মেরে বরিশালকে প্রথম জয় এনে দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
১০টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬১ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করেন তামিম। ৪ রানে অপরাজিত থাকেন অঙ্কন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
মিনিস্টার রাজশাহী : ১৩২/৯, ২০ ওভার (মেহেদি ৩৪, ফজলে ৩১, রাব্বি ৪/২১)।
ফরচুন বরিশাল : ১৩৬/৫, ১৯ ওভার (তামিম ৭৭*, ইমন ২৩, মুকিদুল ২/২৭)।
ফল : ফরচুন বরিশাল ৫ উইকেটে জয়ী।