রায়হান হত্যা: পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদের মৃত্যুর আটদিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ ছয় দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে পরিবার ও এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে নগরীর আখালিয়া নেহারিপাড়ার গুলতেরা মঞ্জিলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরা হয়।

অন্য দাবিগুলো হলো-রায়হান হত্যায় জড়িত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর ভূঁইয়াসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, পলাতক এসআই আকবর ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারে আইজিপির নির্দেশ, পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য, নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা।

সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাখা বক্তব্যে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আমার ছেলে কোনো দল করতো না। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার একটাই দাবি, আমার ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসি।

রায়হান আহমদ হত্যায় জড়িতদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না করা হলে পরিবার এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হরতাল ও সড়ক অবরোধসহ দুর্বার আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে নিহত রায়হানের মা সালমা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়হানের মামাতো ভাই ও স্থানীয় মুরব্বি শওকত।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, নারী কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সাবেক কমিশনার জগদীশ দাশ ও রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহসহ এলাকার মুরব্বিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত রবিবার ভোরে সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত হন রায়হান উদ্দিন। তিনি সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাসের এক মেয়ে রয়েছে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।