রিজার্ভ ৩২৫২ কোটি ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিমাণ ৩ হাজার ২৫০ কোটি (৩২.৫২ বিলিয়ন) ডলার ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা গেছে, রিজার্ভের এই অর্থ দিয়ে দেশের ৯ মাসের মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মাস ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৩০ কোটি ডলার। আর বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৪২৫ কোটি ডলার। এর আগে ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর রিজার্ভ ৩ হাজার ২০০ কোটি অতিক্রম করেছিল। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দেনা পরিশোধের পর তা ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে গিয়েছিল।

এছাড়া রেমিট্যান্স কমে যাওয়াও রিজার্ভ কমার অন্যতম একটা কারণ ছিল। তবে রেমিট্যান্স কিছুটা কমলেও পোশাক খাতকে সঙ্গে নিয়ে দুটোর ওপর ভর করেই আবার রিজার্ভ বাড়ছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ,গত সাত বছর ধরেই একটানা বেড়ে চলেছে রিজার্ভ। রেকর্ড পরিমাণের এই রিজার্ভ দিয়ে সরকারের বড় অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে মতাতমত চাওয়া হয়েছে। রিজার্ভেরি একটি অংশ কিভাবে বিনিয়োগে আনা যায় তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও কৌশলপত্র তৈরির কাজ করছে।

কয়েক দিন আগেই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজানের আগে ডলারের দাম বাড়লে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। আমাদের ৩২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ আছে। সেখান থেকে ২০০ বা ৪০০ মিলিয়ন ডলার ব্যাংকে দিলে আমাদের বিশেষ ক্ষতি নাই।

পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজনে আমরা রিজার্ভে থাকা ডলার ব্যবহার করবো। তাতে ডলারের দাম স্বাভাবিক হবে।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/৩রা মে,২০১৭