রুবেলের পায়ের যাদুতে আবাহনীর জয়

শেষ মুহূর্তে রুবেল মিয়ার গোলেই চিরপ্রিতদ্বন্দ্বী মোহামেডানকে হারিয়েছে আবাহনী। গ্যালারি থেকেও উঠছে রুবেল নামের জয়ধ্বনি। গাইবান্ধার যুবকের জন্য এমন সোনালি সন্ধ্যা কবেই বা এসেছে! প্রিমিয়ার লিগে এ মৌসুমে কালই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনী-মোহামেডান। খেলা যখন ড্র এর দিকে যাচ্ছিল তখনই জ্বলে উঠলেন রুবেল। অতিরিক্ত সময়ে গোল করে আনন্দে ভাসালেন আবাহনীকে। লিগে আবাহনীর এটি দ্বিতীয় জয়, মোহামেডানের টানা তৃতীয় হার।

ম্যাচ শেষে রুবেলের কণ্ঠে উচ্ছ্বাস, ‘জিদ ছিল যেভাবেই হোক আজকের ম্যাচে আমাকে গোল করতেই হবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন দল, মোহামেডানের কাছে হারা যাবে না। মোহামেডানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নেমেই গোল পেয়েছি। এই আনন্দ বলে বোঝানো যাবে না।’

গত মে মাসে এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই এএফসি কাপে রুবেল অবিশ্বাস্য এক গোল করেন বেঙ্গালুরু এফসির বিপক্ষে। প্রথম দুটি ম্যাচে গোল পাননি। তবে কাল গোলের পর ফিরে পেলেন আত্মবিশ্বাস, ‘এই বছরে অন্তত আট-দশটা গোল করতে চেয়েছি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলাম। আজকের গোলটা আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ইনশা আল্লাহ, চেষ্টা করব পরের ম্যাচ থেকে নিয়মিত গোল করতে।’

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ এখন আর আগের মতো উত্তাপ না ছড়ালেও অন্য দিনের চেয়ে দর্শক একটু বেশিই ছিল। দুই দলের সমর্থকেরা গলা ফাটিয়েছেন জয়ের আশায়। কিন্তু কালকের সন্ধ্যাটা ছিল শুধুই আবাহনীর।

কাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষেও মাঠে ছিলেন না মোহামেডান কোচ। অথচ দলের খেলা দেখে মনেই হয়নি কোচ ছাড়া খেলছে তারা!

হারলেও মোহামেডানের নায়ক গোলরক্ষক মামুন খান। আবাহনীকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোলবঞ্চিত করে রেখেছিলেন তিনিই। সামাদ ইউসুফ আর এমেকার দুর্দান্ত দুটি শট ফিস্ট করে নিশ্চিত দুটি গোল বাঁচিয়েছেন।

ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটে হয়েছে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। ৯০ মিনিটে তকলিচের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি মোহামেডান স্ট্রাইকার এনকোচা কিংসলে। পরের মিনিটে আবারও ব্যর্থ কিংসলে, এবার বল বাড়িয়েছিলেন অনীক। এরপরই প্রতি-আক্রমণ থেকে ম্যাচের শেষ মিনিটে রুবেলের ওই জয়সূচক গোল। ডান প্রান্ত দিয়ে নাবিব নেওয়াজ জীবনের হেড, রুবেল কোনাকুনি শটে বল জড়ালেন জালে।

আজকের বাজারঃ সালি/ ৮ আগস্ট ২০১৭