রোহিঙ্গা ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবি’র জনবল বৃদ্ধি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের,বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি’র পাহারা জোরদার করা হয়েছে। এ জন্য ওই সীমান্তে জনবল বাড়ানো হয়েছে।

বিজিবির মহাপরিচালক ২৭ আগষ্ট রোববার দুপুরে ঘুনধুম ও তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘুনধুম সীমান্তচৌকিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে সাময়িক কিছু সমস্যা হয়েছে। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। কোনো মিয়ানমারের নাগরিককে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবির ১৫ হাজার জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ঘুনধুম-তুমব্রু সীমান্তে রোববারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে। বিজিবির তাদের ঠেকিয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান, সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অমানবিক অবস্থায় রয়েছে। তুমব্রুতে কয়েক শ রোহিঙ্গাকে বিজিবি ঘিরে রেখেছে।

এদিকে ঘুনধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার ঘুনধুম সীমান্তের ওপারে ঢেঁকিবনিয়া এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছিল। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গারা সীমান্তের দিকে ছুটে আসতে থাকে। বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন তাদের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে দেননি। এ অবস্থায় ভীতসন্ত্রস্ত রোহিঙ্গারা সীমান্তের ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’ অবস্থান নেন।

ঘুনধুম ইউপি সদস্য আবদুল গফুর বলেন, তাঁর ওয়ার্ডের তুমব্রু কলাবাগান ও পশ্চিম তুমব্রুতে ৫০-৬০ পরিবার রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকেছে। তাঁদের বিজিবি ঘিরে রেখেছে। মানবিক কারণে স্থানীয় লোকজন রাতে তাদের খাবার সরবরাহ করেছে। বিজিবির পক্ষ থেকেও গতকাল সকালে তাদের খাবার দেয়া হয়েছে।

বিজিবি কক্সবাজারের ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বলেছেন, সীমান্তে যে রোহিঙ্গারা অবস্থান নিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত হলে তাঁরা এমনিতে ফিরে যাবে।

জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, কিছু রোহিঙ্গা ঘুনধুম ও তুমব্রু সীমান্তে অবস্থান নিলেও পরিস্থিতি শান্ত আছে।