র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে জাবিতে দুই ছাত্রীসহ বহিষ্কার ৭

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে দুই ছাত্রীসহ সাত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সদস্য সচিব রহিমা কানিজ।

সাময়িক বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- কিফায়াত সাদমান ইশাদী, েরুবাইয়া বিনতে হাশেম, অংকন ভদ্র ও মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান সরকার ও নাসজাসী সুলতান মোহাম্মাদ রাকিব হোসেন ও তানভীর আহমেদ শুভ। তারা সবাই পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক রাশেদা আখতারকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত হলে অবস্থান করতে পারবে না। একই সঙ্গে তারা কোনো ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।

জানা গেছে, গত সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা একই বিভাগের নতুন ভর্তি হওয়া ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজের পেছনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয় সিন্ডিকেট।

র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ওই দিন দুপুর দেড়টায় নবীন শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল এন্ড কলেজের পেছনে নেয়ার খরব জানতে পারি। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খবরের সত্যতা পাই। সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, তারা কি উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়ে গেছে সেটা বড় বিষয় নয়। নবীন শিক্ষার্থীদের নির্জন বা দূরের কোনো স্থানে নেয়াই হলো অপরাধ, যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগেই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। এই অপরাধের জন্য এক বছরের বহিষ্কারের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে। যেহেতু তারা বিভাগ থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের অনেক দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে গেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

সেখানে কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রক্টর বলেন, আমরা নির্যাতনের বিষয়টি নয় বরং দূরে-নির্জনে নেয়ার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা নিয়েছি।

অন্যদিকে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা জানান, নবীন শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ বা কোনো ধরনের নির্যাতন করা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। তারা শুধুমাত্র তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সেখানে গিয়েছিল।

আজকের বাজার/এমএইচ