শারীরিক সক্ষমতায় এখন অনেক এগিয়ে নারী ফুটবলাররা

কৃষ্ণা রানী, সানজিদা খাতুন, মাছুরা আক্তারদের নাম এখন বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ইতিহাসে। তাঁদের হাত ধরেই গত বছর সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী বাছাইপর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বের টিকিটও এনেছে এই জয় দিয়ে। এ প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। প্রায় এক বছরের পরিশ্রমের ফল পাওয়া যাচ্ছে এখন, ফিটনেসে সানজিদারা এখন বিশ্বমানের।

১০ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের চুরবুরিতে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, জাপান, উত্তর কোরিয়ার মতো শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে লড়তে হবে বাংলাদেশকে। স্বস্তির ব্যাপার, অন্তত শারীরিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। কুপার বা এনডুরেন্স টেস্টে ১২ মিনিটে গড়ে ২৮০০ মিটারের ওপরে দৌড়াচ্ছে তারা। ক্রীড়া বিজ্ঞানের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ১৫-১৬ বছরের মেয়েরা কুপার টেস্টে ২১০০ মিটার দৌড়াতে পারলেই সেটা বিশ্বমানের ফিটনেস হিসেবে বিবেচিত হয়।

সেখানে বাংলাদেশের মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে বলে জানালেন কোচ গোলাম রব্বানি, ‘কুপার টেস্টে আমাদের মেয়েরা গড়ে ২৮০০ মিটার দৌড়েছে। তহুরা সর্বোচ্চ ২৯৫০ মিটার। কৃষ্ণা-সানজিদাসহ বেশির ভাগই ২৮৫০ ও ২৮০০ মিটারের মধ্যে। কয়েকজন আছে এর চেয়ে একটু কম।’ যেখানে কিনা ১৯০০ মিটারের বেশি দৌড়াতে পারলেই পাওয়া যায় ‘পাস মার্ক’। বাংলাদেশের সিনিয়র পুরুষ ফুটবলাররা একই টেস্টে গড়ে দৌড়ান তিন হাজার মিটার। সেখানে বিশ্বমানের মানদণ্ড ৩২০০ মিটারের বেশি।

তাঁদের ‘কোর’ ট্রেনিং বা পেটের পেশিগুলোর শক্তি ও শারীরিক ভারসাম্য বাড়ানোর অনুশীলন সেশনের সময়টাও বিশ্বমানের কাছাকাছি। আধুনিক ফুটবলে দমের সঙ্গে প্রয়োজন শরীরের ভারসাম্য। যার মধ্যে কোর ট্রেনিং অন্যতম। বাংলাদেশের মেয়েরা শুরুতে এই অনুশীলন এক মিনিটও করতে পারত না। কিন্তু এখন তারা ১০ মিনিট ধরে পুরো প্যাকেজ শেষ করতে পারে বলে জানান কোচ ছোটন,

আগের সবগুলো খেলায় ভালো করেছে মেয়েরা। এখন চূড়ান্তপর্বে এর চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মোকাবিলা করতে হবে। আর যাই হোক এখন শারীরিক সক্ষমতায় অন্যদের ছেড়ে কথা বলবে না বাংলাদেশ।

আজকের বাজার: সালি / ১৪ আগস্ট ২০১৭