শিক্ষার্থীদের কর্ম উপযোগী করে তোলা জরুরি

‘ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেন্টারের কাজ মূলত দুটো। একটা হচ্ছে শিল্প জগতের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা। ইন্ড্রাস্ট্রির চাহিদা বোঝা যে, কী ধরনের জনশক্তি প্রোভাইড করা দরকার সে অনুযায়ী ছাত্রদের তৈরি করা। এটা হলো তাদের দ্বিতীয় কাজ। অর্থাৎ আমাদেরকে যেটা করতে হবে, আমরা যে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছি, আমরা যে স্টুডেন্ট তৈরি করছি, ওদেরকে শ্রমবাজারে জায়গা করে দিতে হবে। এটাই হলো যেকোনো একটা ক্যারিয়ার সার্ভিসসেন্টারের মূল কাজ’। ইউনাটেড ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টারের পরিচালক ড. মনজুরুল হক খান-এর সঙ্গে কথপোকথনের অনুলিখন তাঁরই ভাষায় আজকের বাজার ও আজকের বাজার টেলিভিশন,এবি টেলিভিশনের পাঠক- শ্রোতাদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টার: যে কোনো ইউনিভার্সিটির বিশেষ করে ভালো ভালো ইউনিভার্সিটিগুলোর একটা আলাদা ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টার বা ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার থাকে। কাজ মূলত দুটো। একটা হচ্ছে যে, শিল্প জগতের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা। ইন্ড্রাস্ট্রির চাহিদা বোঝা যে, কী ধরনের জনশক্তি প্রোভাইড করা দরকার সে অনুযায়ী ছাত্রদের তৈরি করা, এটা হলো তাদের দ্বিতীয় কাজ। অর্থাৎ আমাদেরকে যেটা করতে হবে, আমরা যে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করছি, আমরা যে স্টুডেন্ট তৈরি করছি, ওদেরকে শ্রমবাজারে জায়গা করে দিতে হবে। এটাই হলো যেকোনো একটা ক্যারিয়ার সার্ভিসসেন্টারের মূল কাজ। এই কাজটা করতে গিয়ে দুটি জিনিস করতে হয়। একটা হলো, নিয়োগদাতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ডেভেলপ করা। অন্যদিক থেকে যে প্রোডাক্ট আপনি তৈরি করছেন, সেটা ওই জব মার্কেটের উপযোগী করে তোলা। অর্থাৎ কোনো একটা ডিগ্রী তো তারা ইউনিভার্সিটি থেকে নিচ্ছেই ; নরমাল একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু সফট স্কিলস এবং অন্যান্য কিছু স্কিল দরকার হয়, সেগুলো ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেও ক্যারিয়ার সার্ভিস সেন্টার কাজ করে। মূলত এগুলোই হলো একটা ক্যারিয়ার সার্ভিস সেন্টারের কাজ।

চাকরির বাজার অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক
আসলে জব মার্কেট বা চাকরির বাজার অনেক বেশি কম্পিটিটিভ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ইউনিভার্সিটি আছে, অনেকগুলো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আছে। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছে। বাস্তবে চাকরি বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ কী গতিতে এগেচ্ছে তা আমরা সবাই জানি। অর্থাৎ নাম্বার অব জবস কিন্তু জব সিকারের চেয়ে বেশি না। তো স্বাভাবিকভাবে কম্পিটিশন খুব সিভিয়ার, খুব অ্যাকিউর্ড কম্পিটিশন চলছে। তো কাজেই, একটা ক্যারিয়ার সার্ভিস সেন্টার ওই জব মার্কেটের নেচার সম্পর্কে ভালো জানে। কী ধরনের জনশক্তির চাহিদা বর্তমানে এই জব মার্কেটে আছে, সেই সম্পর্কে তারা বিশ্লেষণ করে, তারা বোঝার চেষ্টা করে। সেই চাহিদা অনুযায়ী,সেই ফিডব্যাকের উপর নির্ভর করে যে সমস্ত সফট স্কিল কিংবা টেকনিক্যাল স্কিল ডেভেলপ করা দরকার সেগুলো তৈরি করার পাশাপাশি নিয়োগদাতাদের সঙ্গে একটা সংযোগসূত্র হিসেবেও কাজ করতে পারে। তো স্বাভাবিকভাবেই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার সার্ভিস সেন্টারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে হলে
আসলে এখানে যে বিষয়টা জরুরি সেটা হলো, আমরা যেটা করেছি, আমরা আমাদের স্টুডেন্টদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য আলাদা আলাদা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছি। আমরা একটু আলাদাভাবে, ডিফারেন্ট একটা অ্যাপ্রোচ আছে আমাদের। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমরা শুধু যে কর্পোরেট লিংকেজ তৈরি করি বা স্টুডেন্টদের জন্য ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা করি, তা না। ধরেন, একটা ছেলে মার্কেটিং মেজর নিয়ে বিবিএ পাশ করেছে, অথবা একটা ছেলে অ্যাকাউন্টিং বা ফাইন্যান্স থেকে পাশ করেছে কিংবা একটা ছেলে সিএসই থেকে পাশ করেছে। এখন সিএসই থেকে যে ছেলেটা পাশ করেছে, সে হয়তো প্রোগ্রামার হতে চায়, অথবা নেটওয়ার্কিং-এ কাজ করতে চায়। তার যে ইচ্ছা, তার যে ক্যারিয়ার গোল, এই অবজেক্টিভের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণভাবে আমরা বিভিন্ন প্যøাটফর্ম দাঁড় করিয়েছি। এই যেমন উদাহরণ দিে ভরা যায়, ইউ.আই.ইউ. ফাইন্যান্স ফোরাম, ইউ.আই.ইউ. অ্যাকাউন্টিং ফোরাম, ইউ.আই.ইউ. এইচআর ফোরাম, ইউ.আই.ইউ. অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট ফোরামসহ সিএসই ও বিবিএ স্টুডেন্টদের জন্য আলাদা আলাদা ফোরাম ডেভেলপ করেছি। এখন যে যেখানে কাজ করতে চায়, যেমন একটা ছেলে চিন্তা করছে যে, সে মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করবে। তো ওই ছেলেটা প্রথম থেকেই মার্কেটিং ফোরামের সঙ্গে কাজ করছে। মার্কেটিং ফোরাম সেই সমস্ত প্রোগ্রাম আয়োজন করে যা কোনো না কোনোভাবে মার্কেটিংয়ের ছেলে-মেয়েদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টে কাজ করবে। তো এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলত আমরা ছেলে-মেয়েদের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার কাজ করি।

দরকার নীতিমালা
যদি আপনি মনে করেন, বিদেশি প্রশিক্ষক এনে এখানে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন, সেটা আপনি করতে পারেন। আবার কিছু ছাত্রকে বাইরে পাঠাতে চাইলে পাঠাতে পারেন। সব কিছু আসলে নীতিমালার উপর নির্ভর করে, চাহিদার উপর নির্ভর করে। যেমন, আমরা কয়েকজন বিদেশি প্রশিক্ষকের সঙ্গে কাজ করেছি, ওরা এসে এখানে ট্রেনিং দিয়েছে। কিন্তু আমরা কোনো স্টুডেন্টকে ট্রেনিংয়ের জন্য বাইরে পাঠাই না। তবে আমাদের অফিসে আলাদা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগ আছে। বেশ কিছু স্কলারশীপ প্রোগ্রামের সাথে আমাদের ইউনিভার্সিটি জড়িত ছিলো, ওইসব প্রোগ্রাম থেকে আমাদের ইউনিভার্সিটির ১০০’র বেশি ছাত্র ইউরোপের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছে।

পেশাভিত্তিক কাব ও মানবসম্পদ
প্রফেশনাল কাবিং বলতে একটা ব্যাপার আছে। অর্থাৎ প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টের জন্য আলাদা আলাদা কাব টাইপের। এ বিষয়ে কয়েকটা উদাহরণও দিয়েছি ইতিমধ্যে। যেমন, মার্কেটিং ফোরাম, ফাইন্যান্স ফোরাম, সিএসই চ্যাপ্টার -এ ধরনের অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম আছে, তো এগুলো শিক্ষার্থীদের কো-অর্ডিনেট করে । কিভাবে সিভি লিখতে হয়, কিভাবে ইন্টারভিউ ফেস করতে হয় – এমন কিছু সেশনের পাশাপাশি জব ফেয়ারের আমরা ব্যবস্থা করি আমরা। এ ছাড়া দুই বছর পর পর আমরা একটা ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার সামিটের আয়োজন করি। সবমিলিয়ে ব্যাপার হলো, আমরা শিক্ষার্থীদের তৈরি করি । আরেকটা ব্যাপার আছে, এমপ্লইয়ারদের সঙ্গে লিঁয়াজো মেইনটেন করি আমরা। মূলত এই ফোরামগুলোর মাধ্যমে কর্পোরেট প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক ধরনের ফাংশনাল রিলেশনশিপ ডেভেলপ হয় । কারণ ওরা যখন কোনো ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে কিংবা কোনো প্রতিযোগিতার আয়োজন করে কিংবা কোনো সেমিনার হয় আমরা কর্পোরেট জগতের মানুষকে নিয়ে আসি রিসোর্স পার্সন হিসেবে। এই প্রসেসের মধ্য দিয়ে একদিকে আমরা যেমন ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে লিংকেজটা রা করছি, ব্রিজটা তৈরি করছি, অন্যদিক থেকে আমাদের স্টুডেন্টদের জব মার্কেটে হিউম্যান রিসোর্স বা মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলছি।

প্রকৃত দক্ষতা উন্নয়ন চাইলে
এইখানে একটা ব্যাপার আছে যে, রিয়েল ডেভেলপমেন্ট চাচ্ছেন, রিয়েল স্কিল ডেভেলপমেন্ট চাচ্ছেন। রিয়েল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কার্যকর ওয়ার্কশপের মাধ্যমে কিছুটা হয়। আরেকটা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যে ফোরামগুলোর মধ্যে কাজ করে, তখন তার লীডারশিপ ক্যাপাসিটি ডেভেলপ হয়, তার কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ হয়, তার নেগোসিয়েশন স্কিল ডেভেলপ হয়। পাশাপাশি আবার যখন ছাত্ররা আনুষ্ঠানিক ওয়ার্কশপের মধ্য দিয়ে যায়, সেখানে দতাগুলো আরও শাণিত হয়। থিওরিটিক্যাল এবং প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষার একটা সমন্বয়ের মাধ্যমে স্কিলগুলো ডেভেলপ হয়। তবে গ্যাপটা অন্য জায়গায়। গ্যাপটা হচ্ছে, প্রত্যেকটা স্টুডেন্টকে এই সবগুলো সার্ভিস প্রোভাইড করাটা একটা চ্যালেঞ্জ। যেমন ধরেন, কোনো একটি ইউনিভার্সিটির হয়তো দশ হাজার শিক্ষার্থী আছে। তো এই দশ হাজার স্টুডেন্টকে সব কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাটা কঠিন। একটা জেনারেল ফ্রেমওয়ার্ক আছে যে, কিছু কিছু সাধারণ ট্রেনিং, এগুলো আসলে কোনোটাই বাধ্যতামূলক না একাডেমিক বিষয়ের মতো। তবে একটা কাজ আমরা করি, প্রত্যেকটা পাসিং আউট স্টুডেন্টের জন্য লাস্ট সেমিস্টারে দুই দিনের একটা ট্রেনিং আছে। এটা আমরা মোটামুটি সবাইকেই অংশগ্রহণ করাই।

আমাদের উদ্যোগ আমাদের নিজস্ব
প্রথমত যে আগে ফোরাম বা কাবগুলোর কথা বললাম, প্রফেশনাল কাবিং এটা ইন্ট্রোডিউসড বাই ইউআইইউ। আমরা বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রথম মার্কেটিং ফোরাম,ফাইন্যান্স ফোরাম করেছি। অর্থাৎ এইখানে আমাদের একটা নিজস্বতা আছে যে, আমাদেরটাই প্রথম ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টার যার নিজস্ব উইং আছে। সাধারণত ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার বা কাউন্সেলিং সেন্টারগুলোর কোনো নিজস্ব উইং থাকে না, স্টুডেন্ট বডি থাকে না। সাধারণত যা করা হয় সেটা হলো যে, প্রোগ্রামগুলো অফার করা হয় তাতে শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন করে। আর আমরা আলাদা প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপ করেছি, স্পেশাল স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য আলাদা আলাদা করে। বাংলাদেশে আমরাই প্রথম এরকম করেছি। আরেকটা বিষয় হলো, আমরা বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার সামিট অর্গানাইজ করেছি। এদিক থেকেও ইউআইইউ কাউন্সেলিং সেন্টারের একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে।

নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে হবে
আমাদের এখানে কোনো ধরা-বাঁধা নিয়ম নেই। প্রথম যে জিনিসটা সেটা হলো নিজেকে জানতে হবে যে, আমার আসলে লক্ষ্যটা কী? একটা স্ট্রেন্থ- উইকনেস-অপারচুনিটি-টার্গেট বা সোয়াট অ্যানালাইসিস করা দরকার প্রত্যেকেরই। আসলে আমার শক্তি কী ? আমার দুর্বলতা কী? আমার কী সুযোগ আছে? আমার ল্েয পৌঁছনোর জন্য কী কী সমস্যা হতে পারে? প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীরই এই সোয়াট অ্যানালাইসিসটা থাকা দরকার। যেমন, একটা স্টুডেন্ট নিজেকে আবিষ্কার করলো যে সে এক্সট্রোভার্ট। তো আমি যদি এক্সট্রোভার্ট হই তাহলে কোন কোন প্রফেশনগুলোতে গেলে আমি ভালো করবো, এই সম্পর্কে একটা ধারণা আসবে। ফর এক্সামপল, একটা ইন্ট্রোভার্ট ছেলেকে মার্কেটিংয়ের চাকরি দেওয়া হলো। সে নিজের মধ্যে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। তার এক্সটারনাল কাজ করতে ভালো লাগে না, তবুও সে গেল, তাহলে কি সে ভালো করতে পারবে? সে পারবে না। কাজেই তার স্ট্রেন্থগুলো সম্পর্কে তার নিজের জানা থাকা দরকার, তার উইকনেসগুলোও জানা থাকা দরকার। আবার উইকনেসগুলোকে কীভাবে স্ট্রেন্থে কনভার্ট করা যায়, এই প্ল্যানও করা যেতে পারে। উদাহরণ দিয়ে বলি, একটা ছেলে আবিষ্কার করলো যে, তার যোগাযোগ দক্ষতায় সমস্যা আছে। তাহলে সে যে করতে পারে তা হলো, সে কমিউনিকেশন স্কিল ডেভেলপ করার জন্য এক বছরের একটা প্ল্যান নিতে পারে। আবার একটা ছেলে দেখলো তার টেকনিক্যাল কিছু প্রবলেম আছে, যেমন এক্সেল প্রোগ্রামে সে খুব ভালো না। তখন সে যেটা করতে পারে, কিছু স্পেশালাইজড ট্রেনিং করতে পারে। ইন্টারনেটে অনেক মডিউল পাওয়া যায়, ইচ্ছা করলে দেখে দেখে নিজেও এক্সেল বা এই ধরনের স্কিলগুলোকে ডেভেলপ করতে পারে। তার মানে তার যে উইকনেসটা থাকলো, এটাকে সে কনভার্ট করে ফেললো। সবচেয়ে বড় কথা, আন্তরিকতা। অর্থাৎ আপনি যা ই করেন না কেন, আন্তরিকভাবে করতে হবে।

আরেকটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে, শিক্ষার্থীরা সেই সমস্ত পেশাতেই যেতে চায় যেগুলোকে মানুষ খুব ভালো প্রফেশন বলে ভাবে। কিন্তু আমাদের আমাদের পেশা বাছাই করা উচিত আমার নিজস্ব শক্তি ও আমার আগ্রহের উপর বিবেচনা করে। অর্থাৎ কোন বিষয়ের প্রতি আমার আগ্রহ আছে, কোন পেশার প্রতি আমার আগ্রহ আছে, কোনটা আমার চিন্তা-চেতনা ও ব্যক্তিক্তের সঙ্গে মিলে যায়, তার উপর বিবেচনা করেই প্রফেশন চ্যুজ করা উচিত। আমি বিশ্বাস করি, সিনসিয়ারলি কাজ করলে একজন মানুষ তার ক্যারিয়ারে সফল হবেই।

মনজুরুল হক খান
পরিচালক
ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টার
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি