শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ২টি মার্সিডিজ বেঞ্জ জব্দ

শুল্ক গোয়েন্দা চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকার কার কোল্ড অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার নামের একটি গ্যারেজ হতে শুল্ক ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দুটো বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি জব্দ করেছে।

সুনির্দিষ্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত গ্যারেজে ৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় শুল্ক গোয়েন্দা এ অভিযান চালায়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, অভিযানে উক্ত গ্যারেজে একটি মার্সিডিজ জিপ এবং একটি মার্সিডিজ কার পাওয়া যায়।

আটককালে দেখা যায় মার্সিডিজ জিপের রেজিস্ট্রেশন নং: চট্ট মেট্রো -ঘ-১৪-১৭৫৩, চেসিস নং: ডব্লিউডি সি১৬৩১৫৭২এ৪৭৪৭৬৯, ইঞ্জিন নং ১১২৯৭০৩১৬১২০৯০ রঙ কালো, সিসি ৩৭২৪, উৎপাদন তারিখ ২০০২।

অন্যদিকে মার্সিডিজ কারটির রেজিস্ট্রেশন নং: ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-০২২১, চেসিস নং: ডব্লিউডি বি ২১১০৬৫২এ২৮৩৯৪৩, ইঞ্জিন নং ১১২৯৪৯৩১৫৩৯২৪৭, রঙ রূপালি, ইঞ্জিন নং ১১২৯৪৯৩ ১৫৩৯২৪৭ সিসি ৩১৯৯ উৎপাদন তারিখ ২০০২। গাড়ি দুটোর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভূয়া মর্মে বিআরটিএ হতে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়।

মার্সিডিজ জিপটির মালিক জনৈক বিশ্বজিৎ এবং কারের মালিক জনৈক যুবরাজ নামের দুইজন ব্যক্তি। তারা সার্ভিসিং এর জন্য উক্ত গ্যারেজে দিয়ে যান মর্মে গ্যারেজটির মালিক জনাব মো. জামশেদ শুল্ক গোয়েন্দাকে অবহিত করেন।

অনুসন্ধানে জানা যায় কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের মাধ্যমে গাড়ি দুটো যথাক্রমে কারনেট নম্বর ডিডিক্স -৬৪১৮৩২ তারিখ ০৫/০১/১১ এর মাধ্যমে মোহাম্মদ মনসুর আলি, ১৯, বাউ কমন লেন লন্ডন ই৩৪ডিইউ এবং কারনেট নং ডিডিক্স ৬৪১৭৯৩, তারিখ ২৫/১২/১০ এর মাধ্যমে মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, ৭, বেল্কওয়াথ হাউজ, ওয়েডেসন স্ট্রিট লন্ডন ইজেড৯ ডিডব্লিউ ফেরত নিয়ে যাওয়ার শর্তে শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করেন। পরবর্তীতে তারা আর গাড়ি দুটো ফেরত নিয়ে যাননি। ধারণা করা হচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক অভিযানের ফলে গাড়ির মালিকরা সার্ভিসিং এর নাম করে গ্যারেজে ফেলে গেছেন। শুল্ক করাদিসহ গাড়ি দুটোর আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান শেষে আজ গাড়ি দুটো জব্দ দেখানো হয়। আটক গাড়ি চট্টগ্রাম শুল্ক গুদামে জমা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরসহ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

আজকের বাজার:এসএ/এলকে/০৪ মে,২০১৭