শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে : গওহর রিজভী

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।

তিনি আজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশে জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ : সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আশা প্রকাশ করেন- সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করা সম্ভব হবে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন মোল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি অধ্যাপক এমিরিটাস ড. আবদুল মোমেন, তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. খুরশিদা বেগম সাঈদ এবং ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি রাজেশ সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান।

গওহর রিজভী বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক ও উদার গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী কর্মকা-ের গভীরে গিয়ে এর সূত্র নির্ণয় করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষিণ এশিয়াকে শান্তির অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সেই প্রচেষ্টা স্তব্ধ করতে জঙ্গিগোষ্ঠী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বাংলাদেশের কাছ থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণ চাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে উপাচার্য প্রশ্ন রাখেনÑ ১৯৭১ সালের ৩০ লাখ শহীদের ক্ষতিপূরণ কে দেবে? ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে আমাদের বিজয়ের প্রাক্কালে পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের ব্যাংক-বীমা লুট করে। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থাসহ সরকারি দপ্তরের টাকাও লুট করে। এসব টাকা ফেরত দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখার যৌক্তিকতা নেই।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যা নিয়ে মিথ্যাচার করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। পাকিস্তানের নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এই সম্পর্ক ছিন্ন অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ধর্মকে কেউ যেন অধর্মের কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

পরে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে ৩টি প্রবন্ধ উপস্থাপন ও প্রবন্ধের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়।

সুত্র: বাসস