শেরপুরে সহকারী কমিশনারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

শেরপুরের নকলা উপজেলায় রবিবার রাতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বর, বিয়ের ঘটক এবং কনের বাবাকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভার্চুয়াল আলোচনায় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, নকলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আহাম্মেদের হস্তক্ষেপে নকলা পৌর এলাকার কুর্শাবাদাগৈড় এলাকায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে আসা বর মিজানুর রহমানকে ৫০ হাজার এবং কনের বাবা ও ঘটককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

কাউছার আহাম্মেদ বলেন, নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপজেলায় বাল্যবিয়ে তো দূরের কথা, বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত কোনো আয়োজনও বরদাস্ত করা হবে না।

নকলায় বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত কোনো ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক ও বরসহ আয়োজকদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

তিনি জানান, বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত যেকোনো ঘটনা নিরোধ করার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশসহ বাল্যবিয়ে নিরোধ কমিটি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা সদা তৎপর রয়েছেন।

এদিকে জেলা প্রশাসক আনার কলি জানান, শেরপুরে গত এক বছরে ১৩টি বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে চারটিতে সাজা দেয় এবং ১৩টিতে বরসহ আয়োজকদের ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে।