শেয়ারবাজারে নির্বাচনে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না: অর্থমন্ত্রী

২০১০ সালের ধ্বসের পর শেয়ারবাজার অনেক সংস্কার কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজার বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। ফলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে শেয়ারবাজারের ওপর কোনো  নেতিবাঁক প্রভাব পড়বে না। একই সঙ্গে বলতে চাই গত কয়েক বছর অর্থনীতি যেই শক্তির ওপর দাড়িয়েছে তার ওপরও কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক বিও অ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি-বাবদ প্রাপ্ত ৫৭ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা (সরকারি অংশ) হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন তিনি। কমিশনের চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বে কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা ও নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা অর্থমন্ত্রীর নিকট এ অর্থ হস্তান্তর করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসলাম তার কিছুদিন পর ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে বেশ অস্থিরতা দেখা যায়। এরপর শুরু হয় সংস্কারের কাজ। গত আট বছরে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন বিধিবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। শেয়ারবাজার এখন একটি ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে, এটা এখন নিজস্ব গতি চলবে।’ আগামী নির্বাচনে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব এখানে পড়বে না।
তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এটা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
গত ১০ বছরে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বকে ‘আউটস্ট্যান্ডিং’ হিসেবেও মূল্যায়ন করেন তিনি। বলেন, ‘ব্যাংক খাতে কিছু অসুবিধা আছে, এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ দেয়া হবে।’
এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেন বলেন, শেয়ারবাজার এখন স্থিতিশীল। নির্বাচন নিয়ে মেজর নেগেটিভ ইন্ডিকেশন নাই।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিল অনুযায়ী, ভোটের দিন ৩০ ডিসেম্বর, রোববার। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর।