শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় খালাস রউফ ও সায়ীদ

আজকেরবাজার ডেস্ক: প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় কোম্পানি ও আসামি এম এ রউফ চৌধুরী এবং সায়ীদ হোসেন চৌধুরীকে বেকুসর খালাস দিয়েছেন আদালত। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ২৪ ধারায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।

রোববার, ২৩ এপ্রিল পুঁজিবাজার সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ এ রায় প্রদান করেন।

রায় ঘোষনার পর এম এ রউফ চৌধুরী বলেন,রায়ে আমি অনেক খুশি। কারণ আমাকে  মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছিল। আমি শেয়ার কেলেঙ্কারির সাথে কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না। আদালতে সেটাই প্রমাণিত হলো।

রাষ্ট্রপরে আইনজীবী মাসুদ রানা খান বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এর ২৪ ধারা অনুযায়ী অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত কোম্পানি প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেড, এম এ রউফ চৌধুরী ও সায়ীদ হোসেন চৌধুরীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

তিনি বলেন, আমরা আদালত থেকে মূল কপি পাওয়ার পর, তা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠাবো। বিএসইসি সিদ্ধান্ত নিবে তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে কি না?

খালাস পাওয়া এম এ রউফ চৌধুরীর পরে আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, সচেতনভাবে মামলা করলে, এই ধরণের হয়রানি হতে হতো না। ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিলাম তাই দীর্ঘ ২১ বছর পর,দায় মুক্তি পেলাম।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল উভয় আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওই দিন রায়ের জন্য ২৩ এপ্রিল ধার্য করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- কোম্পানির চেয়ারম্যান ও র‌্যাংগ্স গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান, পরিচালক ও এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী ও অনু জায়গীদার। তবে মশিউর রহমান ও অনু জায়গীদার হাইকোর্ট থেকে মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ নেওয়ায়, তাদের রায় হচ্ছে না।

এই মামলার সাীরা হলেন- বাদী বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এমএ রশিদ খান, সাবেক বিএসইসি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর জহুরুল হক, প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল খালেক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ দেলোয়ার হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেন।

যার মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫টি, মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ার ছিল।

অভিযোগ, অভিযুক্তরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের তি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন। তবে এই অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।

আজকেরবাজার:এলকে/এলকে/২৩ এপ্রিল,২০১৭