শ্রমিকরা ঝুঁকিতে, দায় এড়াতে পারে না বিজিএমইএ-বিকেএমইএ : টিআইবি

সরকার ঘোষিত ছুটির মধ্যেও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকরা যেভাবে শ্রমিকদের কাজে ফিরতে বাধ্য করেছে তার তীব্র সমালোচনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, করোনার সংক্রমণ রোধে জাতীয় স্বার্থ, নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করে চাপের মুখে শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফিরতে বাধ্য করার দায় বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এড়াতে পারে না।

আজ রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, মালিকদের হুমকিতে চাকরি বাঁচাতে দূর-দূরান্ত থেকে লাখ লাখ শ্রমিক যেভাবে পায়ে হেঁটে কাজে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন, তাতে শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন হয়েছে।

‘বিশ্বজুড়ে যখন সব ধরনের কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে, উৎপাদিত পণ্যও রপ্তানির সুযোগ নেই বললেই চলে, পণ্য বা উপাদান যেখানে পচনশীল কিংবা জরুরি প্রয়োজনীয় বিবেচিত হওয়ার সুযোগ নেই, সেই পরিস্থিতিতে কারখানা খুলে দেবার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শ্রমিকদের কর্মস্থলমুখী করে, তাদের এবং কার্যত পুরো দেশকে কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়াটা চরম স্বার্থপরতা ও ষড়যন্ত্রমূলক ছাড়া আর কী হতে পারে! এর দায় কারখানা মালিক থেকে শুরু করে মালিকদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন, কোনো অবস্থাতেই এড়াতে পারে না।’

আজকের বাজার / এ.এ