সংসদে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহারে ১৫ ভাগ সময় ব্যয়

জাতীয় সংসদের অধিবেশনগুলোতে সংসদ সদস্যদের অসংসদীয় আচরণ করার প্রবণতা কমেনি। সংসদে বিভিন্ন আলোচনা পর্বে অসংসদীয় ভাষা (আক্রমণাত্মক, কটু ও অশ্লীল শব্দ) ব্যবহারে মোট সময়ের ১৫ ভাগ ব্যবহার হয়েছে। সংসদের বাইরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে ২১০১ বার, সংসদের ভিতরের প্রতিপক্ষকে নিয়ে ৪৩৩ বার বিভিন্ন কটুক্তি, আক্রমণাত্মক শব্দ ও অশ্লীল শব্দের ব্যবহার করা হয়েছেন। যাতে বিধি ২৭০ এর ৬ উপবিধির ব্যত্যয় হযেছে।

রবিবার (৯ এপ্রিল) ধানমণ্ডির টিআইবি সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম থেকে ত্রয়োদশ অধিবেশনের ওপর গবেষণা প্রতিবেদনের ফলাফল প্রকাশের জন্য টিআইবি’র পার্লামেন্টওয়াচ এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

এসময় টিআইবি’র চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো চুক্তি ছাড়া সম্পাদিত সকল আন্তর্জাতিক চুক্তি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় উপস্থাপন করার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা সংবিধানে থাকলেও ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে স্বাক্ষরিত ৬৯টি চুক্তি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিধি অনুযায়ি অধিবেশন চলাকালিন গ্যালারিতে শৃংখলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে স্পিকারের ভুমিকার ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। সংসদে অধিকতর শৃংখলা রক্ষাসহ অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার বন্ধে ষ্পিকারকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।