সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে

সরকারের কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অধীনস্থ দপ্তরও সংস্থার ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি আজ সকালে সচিবালয়স্থ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পটভূমি বর্ণনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর যথাযথ বাস্তবায়নে দৃঢপ্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা একান্ত অপরিহার্য বলে সরকার মনে করে। এ প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়।

কে এম খালিদ বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, সরকারের সার্বিক উন্নয়-অগ্রাধিকার, বিশেষত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, রূপকল্প-২০৪১ এবং অন্যান্য কৌশলগত দলিলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে সরকারের সীমিত পরিসরে কার্যক্রম সম্পাদনের অংশ হিসাবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে-বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কপিরাইট অফিস, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান