সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১২ হাজার ২১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রস্তাব

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১২ হাজার ২১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে ১১ হাজার ৩৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা পরিচালন ব্যয় ও ১ হাজার ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য ৯ হাজার ৩২৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল এই বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সামাজিক নিরাপত্ত ও সুরক্ষা খাতের আওতা বাড়ানো হয়েছে। সরকার দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রবীণদের অধিকার সমুন্নত রাখায় সচেষ্ট। দুঃস্থ প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ব্যাপক পরিসরে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতার ক্ষেত্রে প্রবীণ নারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর থেকে জনপ্রতি মাসিক ভাতা ৬০০ টাকা হারে ৫৮.০১ লাখ ভাতাভোগীর এই সুবিধা ভোগ করবেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২৯ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির হার প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া হিজরা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাতা ভোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৮১৫ জন থেকে ৬ হাজার ৮৮০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ বিশেষ ভাতা ভোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬০০ জন থেকে বৃদ্ধি করে ৫ হাহার ৬২০ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া ২৫ লাখ ৭৫ হাজার বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে ভাতার আওতায় আনা হয়েছে এবং ভাতার হার ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমে উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ জন হতে ৮২ হাজার ৫০৩ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ভাতা ভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫০ জন থেকে ৫৪ হাজার ৩০০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। উপবৃত্তি লাভের জন্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ২১ হাজার ৯০৩ জন থেকে ২৬ হাজার ২৮৩ জনে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে ১৩ লাখ ৪ হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর ভাতা দৈনিক ২০০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমানে ২৫টি ক্যাশভিত্তিক কর্মসূচির মধ্যে ২২টি কর্মসূচির অর্থ সরাসরি ব্যাংক হিসাব মোবাইল ব্যাংক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ৮০ শতাংশের অধিক ক্যাশভিত্তিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ভাতা জিটু জি পদ্ধতিতে প্রদান করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী সংসদকে জানান।