সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা : র‌্যাব

রাজধানীর সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা নব্য জেএমবির ৫ সদস্য সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রাজধানীর কাওরান বাজা‌রে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টা‌রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি, অপারেশন্স) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান এসব তথ্য জানান।

আটক ৫ জঙ্গি হলো-অলিউজ্জামান ওরফে অলি (২৮), আনোয়ারুল আলম (২৯), সালেহ আহাম্মেদ শীষ (২২), আবুল কাশেম (২৭) ও মো. মোহন ওরফে মহসিন (২০)। সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছিল র‌্যাব-১০। এ সময় তাদের কাছ থেকে জেহাদী বই, খেলনা পিস্তল, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।

আটকরা সবাই নব্য জেএমবির সা‌রোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য‌ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আটকদের এই গ্রুপটি‌তে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য র‌য়ে‌ছে। এদের অধিকাংশই মিরপুর ও কাফরুল এলাকার বাসিন্দা। এই সেলের নিয়ন্ত্রক অলিউজ্জামান ওরফে অলি। এই জঙ্গি সেলটি মিরপুর ও কাফরুল এলাকার সরকারি স্থাপনায় নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। এই নাশকতার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মনির এবং সালমান ওরফে আবদুল্লাহকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তাদের দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

কোন কোন স্থাপনায় জঙ্গিরা হামলার পরিকল্পনা করেছিল-এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে স্থাপনার নাম বলা যাবে না। তাহলে সেখানকার মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করতে পারে। প্রায় সোয়া এক বছর ধ‌রে তারা এক‌ত্রিত হয়েছে।

র‍্যাবের এডিজি জানান, আটক ৫ জনের মধ্যে দুইজন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। এরমধ্যে অলিউজ্জামান বুয়েট থেকে ২০১২ সালে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে। বর্তমানে সে একটি বহুজাতিক কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। বুয়েটে অধ্যায়নকালীন তার ধর্মীয় বিষয়ের উপর আগ্রহের সৃষ্টি হয়। সে বিভিন্ন ধর্মীয় বই-পুস্তক, লিফলেট ও অনলাইনে বিভিন্ন সাইটের মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদী বিষয়ে আকৃষ্ট হয়। ২০১৫ সালের শেষে সে সারোয়ার-তামিম গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হয়।

এখানে উল্লেখ্য, নব্য জেএমবির সমন্বয়ক ছিলেন তামিম চৌধুরী। নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে নিহত হন তিনি। অপরদিকে সরোয়ার জাহান নব্য জেএমবির অর্থের যোগানদাতা ছিলেন। আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যান তিনি।