সরাসরি করোনার টিকা ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন

রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে আলোচনার মাধ্যমে কোনো সংস্থা থেকে সরাসরি করোনাভাইরাসের টিকা কেনার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের অনুপস্থিতিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘মন্ত্রিসভা কমিটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহের জন্য (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়েরর আওতাধীন) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।’

আবু সালেহ বলেন, ‘কমিটি রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। তবে যখন কোনো ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হবে সেটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা কমিটিতে আসবে।’

তিনি জানান, পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২)-এ উল্লিখিত অনুচ্ছেদ মেনে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এর আগে, ৫ নভেম্বর করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করে বাংলাদেশ সরকার।

সমঝোতা অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট বেক্সিমকোকে অক্সফোর্ডের তৈরি সার্স-কোভ-২ এজেডডি ১২২২ (অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা) সরবরাহ করবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার বলেন, ‘সরকারের কেনা ভ্যাকসিন মানুষকে বিনামূল্যে দেয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মেনে কারা আগে পাবে তা ঠিক করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের জন্য অর্থমন্ত্রণালয় গত ১৬ নভেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ইতোমধ্যে টিকার ত্রিপক্ষীয় সংগ্রহ চুক্তির খসড়া তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।