সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগে এসআইসহ দুই পুলিশ চিহ্নিত: আদালতে প্রতিবেদন দাখিল

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগের সংগে জড়িত থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও এক কনস্টেবলকে চিহ্নিত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

এরা হলেন- উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান ও কনস্টেবল সাজ্জাদুর রহমান।

বিচারপতি ওবায়েদুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) তা উপস্থাপন করেন। আদালত প্রতিবেদনটি নথিভুক্ত করে রেখেছেন।

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি পুলিশের পক্ষ থেকে এ তদন্ত প্রতিবেদনটি আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেওয়া হয়। এর আগে বিচারিক তদন্তে সহযোগিতা না করায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল ইসলামকে অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও বলেও পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালত বলেছিলেন, কয়েকজন পুলিশ সদস্যর জন্য পুরো বাহিনী দায়ী হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে।

এর আগে ২৯ জানুয়ারি গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে বিচারিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লীতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একজনসহ পুলিশের তিন সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাদের চেনা যায়নি। ওই সময় তাদের মাথায় হেলমেট থাকায় এবং ঘটনার যেসব ভিডিও ধারণ করা হয়েছে, তা দূর থেকে ধারণ করায় জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে আগুন দেওয়া লোকদের মধ্যে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে দুজন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি লেখা ব্যক্তিকেও দেখা গেছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৬ নভেম্বর গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীর চিনিকল কর্তৃপক্ষের জমি দখল কেন্দ্র করে পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। সাঁওতাল পল্লীতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটে। সংঘর্ষের সময় গোলাগুলিতে তিন সাঁওতাল নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হন। এই হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং সাঁওতালরা হাইকোর্টে তিনটি পৃথক রিট আবেদন করেন। যার মধ্যে দুটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট