সাফল্য চান বাউচার

বড় মঞ্চে, চোকার্স নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল। এখনও পর্যন্ত আইসিসির কোন ইভেন্ট জিততে পারেনি তারা। ওয়ানডে বা টি-২০, কোন বিশ্বকাপই জিততে পারেনি। তবে একবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিলো প্রোটিয়ারা। সেটিও ১৯৯৮ সালে। যা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশের মাটিতে। আসরের সবগুলো ম্যাচই হয়েছিলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।

তবে চোকার্সের তকমা থেকে বের হয়ে আসতে চান দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার। ফেভারিটের তকমা নিয়ে শুরু করে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। এই ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে চান বাউচার। বড় মঞ্চে সাফল্য পেতে চান তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমকে বাউচার বলেন, ‘আমার কাছে পারফরম্যান্স আসল, যাতে সাফল্য পাওয়া যাবে। দলে দারুণ-দুর্দান্ত সব ক্রিকেটারদের চাই না। চ্যালেঞ্জিং একটি দল চাই, যেসব খেলোয়াড়রা চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে, চ্যালেঞ্জে জিততে পারবে। বিশ্বের সেরা হতে লড়াই করবে। আমরা দল হিসেবে সঠিক পথে আছি। তবে আমাদের মাঠে প্রমান করতে হবে, ভালো খেলতে হবে। আমরা মাঠে ফিরতে মুখিয়ে আছি, মাঠে নিজেদের পারফরমেন্সকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।’

গেল বছর ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপে ফেভারিটের কাতারে থেকেও, সপ্তমস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া আইসিসির ইভেন্টের বাইরেও, গেল দেড়-দুই বছরে শ্রীলংকা-ভারত, ইংল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজ হেরেছে তারা। তাই বড় মঞ্চে ও বড়-বড় দলের বিপক্ষে সাফল্য চান বাউচার, ‘আইসিসির ইভেন্টে আমাদের সাফল্য পেতে হবে। দ্বিপক্ষীয় সিরিজেও সাফল্যের ধারাবাহিকতা আনতে হবে।’

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ এবং টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান ফাফ ডু প্লে¬সি। ওয়ানডের পর টি-২০ ফরম্যাটের অধিনায়ক হন কুইন্টন ডি কক। বাকী ছিলো টেস্ট ফরম্যাটে। এই ফরম্যাটেরও দায়িত্ব পেতে পারেন ডি কক, এমন গুঞ্জনও উঠেছিলো। কিন্তু ডি কককে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন বাউচার।

বাউচার বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, ডি ককের চাপ অনেক বেশি। সে ওয়ানডে ও টি-২০ দলের দায়িত্বে আছে। তার সাথে কথা বলেছি, তখন মনে হয়েছে তার ওপর চাপটা বেশি পড়ে যাচ্ছে। তার ওপর আর চাপ সৃষ্টি করতে চাই না। আমরা টেস্টে অধিনায়কের সন্ধানে আছি। অন্যান্য দেশেও, ভিন্ন ফরম্যাটে ভিন্ন অধিনায়ক আছে।আপনি ইংল্যান্ডের দিকে তাকালে দেখতে পারবেন, টেস্ট দলের সাথে ইয়োইন মরগানের কোন সম্পৃক্ততা নেই।

শুধুমাত্র সাদা বলের দুই ফরম্যাটে খেলে থাকেন তিনি। যখন ইংল্যান্ড লাল বলের খেলে, তখন সাদা বল নিয়ে পরিকল্পনার অনেক সুযোগ পান মরগান।’