সাবেক এমপি পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ এপ্রিল

মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেফতার হওয়া সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ধার্য করেন।
পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা থাকায় মানি লন্ডারিং আইনে গত ২২ ডিসেম্বর পল্টন থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন,লক্ষ্মীপুর-২ আসনের কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারি), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।
এছাড়া মামলায় দু’টি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো-জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটর পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।
২২ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।