সিনহার ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম’ বই প্রকাশ

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বিদেশ থেকেই একটি আত্মজীবনী লিখেছেন। প্রকাশিত বইটির নাম, ‘অ্যা ব্রোকেন ড্রিম, রুল অফ ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’।

বাংলায় বইটির অর্থ দাঁড়ায় ‘একটি ভাঙা স্বপ্ন: আইনের শাষণ, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র।’

বইটির ভুমিকায় সিনহা বলেছেন, বিচারবিভাগ একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের সংবিধানে গণতন্ত্রকে নিজেদের অন্যতম মূলভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। এই সংবিধান নির্বাহি বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকিকরণ নিশ্চিত করে।

ভুমিকাতে সিনহা নিজের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে বলেন, ১৯৭৪ সালে সিলেটের নিম্ন আদালতে পেশাজীবন শুরু করেন তিনি। তার পেশাজীবন শেষ হয়েছে বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদ প্রধান বিচারপতির পদে আসিন থেকে। এজন্য তিনি গর্বিত।

তার ভাষ্য মতে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য একটি যুগান্তকারী রায় দেবার অপরাধে তিনি সরকারের রোষানলে পড়েন।

তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ সরকার তাগে পদত্যাগে বাধ্য করেছে।’

সিনহা লিখেছেন, আমি পদত্যাগ করতে চাননি। আমার সাথে সাক্ষাত না করেই সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা বারবার বলেছেন চিকিৎসা ছুটি নিয়ে বিদেশে যাবেন।

তিনি বলেছেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ক্রমাগত তাকে এবং তার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত এ কারণেই দেশত্যাগ করেন তিনি এবং বিদেশ থেকেই পদত্যাগ করেন।

এদিকে বইটি নিয়ে এসকে সিনহার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান বলেছেন, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার একটি বই বের হয়েছে দেখলাম। এনিয়ে আবার অনেকের মাঝে উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। এমন উচ্ছাস অনেকের মাঝে দেখেছিলাম যখন তিনি গৃহবন্দি ছিলেন।

নোমান, এসকে সিনহাকে আওয়ামী লীগ সমর্থক উল্লেখ করে লেখেন, ‘বাবু সুরেন্দ্র কুমারকে আমি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি থেকে দেখছি। সংবাদের খোঁজে আদালত ভবনে যাতায়াত ছিল নিয়মিত। তখন থেকে জানি তিনি একজন গোড়া আওয়ামী লীগার। পাশাপাশি তার দুর্নীতির বিষয় গুলো আইনজীবীদের মুখে মুখে প্রচারিত ছিল।’

এছাড়াও নোমান এসকে সিনহার বিচারিক যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রেখেছেন। তিনি এর উদাহরণ হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরী এবং কাদের মোল্লার বিচারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তার মতে, এই ২ জনের বিচারিক কার্যক্রম এস কে সিনহা আইন সম্মতভাবে পরিচালিত হয়নি।

আজকের বাজার/এমএইচ