সিভিএফ, জিসিএতে লন্ডনের দৃঢ় অবস্থান চায় ঢাকা

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) এবং গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপ্টেশন (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া- উভয় ক্ষেত্রেই যুক্তরাজ্যের দৃঢ় অবস্থান প্রত্যাশা করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনের (কপ-২৬) আগে একটি সুন্দর বিশ্ব বিনির্মাণে গতি তৈরি করবে।

প্রতিমন্ত্রী কপ-২৬-কে পুরোপুরি সফল করতে যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের দৃঢ় আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বুধবার ‘ইউকে-বাংলাদেশ ক্লাইমেট পার্টনারশিপ ফোরাম ভার্চুয়াল সিরিজ-বিল্ডিং মোমেন্টাম অন দ্য জার্নি টু কপ-২৬’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অ-নির্গমনকারী দেশ হওয়ার পরও উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের ভার ক্রমাগত বহন করে আসছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ প্রণয়ন করেছে, প্রথম স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে, জাতীয় ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ তৈরি হয়েছে এবং সব দেশের জন্য সিভিএফ ‘মিডনাইট সার্ভাইভাল ডেডলাইন ফর দ্য ক্লাইমেট’ উদ্যোগ চালু করেছে।

শাহরিয়ার আলম চলতি সেপ্টেম্বরে ঢাকায় গ্লোবাল সেন্টার অব অ্যাডাপ্টেশনের (জিসিএ) জন্য দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক অফিস প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের জলবায়ু অ্যাকশন সামিটের ৬ নম্বর ট্র্যাকে যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব তুলে ধরেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ জলবায়ু অংশীদারিত্ব ফোরাম জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর আরও বেশি অগ্রগতি অর্জনের জন্য উদ্ভাবনী ধারণা, অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্যোগগুলো ভাগ করে নেয়ার জন্য দুটি দেশকে একত্রিত করবে।

ভার্চ্যুয়াল অলোচনায় ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী লর্ড আহমেদ অংশ নেন।

তিনি সিভিএফের সভাপতি পদে বাংলাদেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৬-এর আয়োজক যুক্তরাজ্য হওয়ায় দেশ দুটি পুরো বিশ্বের সামনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার এক অনন্য সুযোগ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন।

তিনি উল্লেখ করেন যে জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপের বিষয়ে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব দুটি দেশের মধ্যে দৃঢ় বন্ধনের ভিত্তিতে নির্মিত হয়েছিল এবং এ বন্ধন কপ-২৬ ছাড়িয়ে আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

লর্ড আহমেদ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থ ব্যয় দ্বিগুণ করার জন্য তার সরকারের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং তহবিলের অর্ধেক অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য খরচ করার কথা জানান।