সুদানে আবারো পেছালো অভ্যুত্থান পরবর্তী বেসামরিক শাসন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর

সুদানে গণতান্ত্রিক উত্তরণের কাজ পুনরায় শুরু করতে একটি চুক্তি করা নিয়ে সামরিক উপদলগুলোর মধ্যে আলোচনা ফের পিছিয়েছে। দেশব্যাপী নতুন করে বিক্ষোভের ডাক দিয়ে বুধবার বেসামরিক প্রতিনিধিরা এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
২০২১ সালের অক্টোবরে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে বেসামরিক নেতৃত্বাধীন শাসনের উত্তরণ পথ লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা ইসলামপন্থী জেনারেল ওমর আল-বশিরকে উৎখাত করার মধ্যদিয়ে ২০১৯ সালে এ বেসামরিক শাসন শুরু হয়েছিল।
খবরে বলা হয়, একটি বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য গত ডিসেম্বরে পৌঁছানো একটি প্রাথমিক চুক্তির ভিত্তিতে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আলোচনায় নিরাপত্তা সংস্কার হলো বিতর্কের একটি মূল বিষয়।
একটি ঐতিহাসিক বেসামরিক ব্লক ফোর্সেস অব ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জের (এফএফসি) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সৈন্যদের মধ্যে আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়ার কারণে বৃহস্পতিবারের জন্য নির্ধারিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি আবারো পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেওয়ার পরেও তারা বলেছে যে এ আলোচনার ক্ষেত্রে কয়েকটি পয়েন্টে অগ্রগতি হলেও একটি চূড়ান্ত প্রশ্ন রয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সংস্কারের মূল বিষয় হচ্ছে বুরহানের ডেপুটি মোহাম্মাদ হামদান দাগলোর নেতৃত্বে শক্তিশালী আধাসামরিক র‌্যাপিড সার্পোট ফোর্সেস (আরএসএফ) এর সদস্যদের নিয়মিত সেনাবাহিনীতে একীভূত করা।
এদিকে আরএসএফের একীভূতকরণের সময়সূচি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। দেশটির এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা তাদের মধ্যে একটি গভীর ফাটলের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আবার বর্তমান প্রশাসনে বশিরের শাসনামলের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ভূমিকা রাখার বিষয় জানার পর এফএফসি বৃহস্পতিবার ‘স্বাধীনতা, শান্তি ও ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠার জন্য এবং ‘পুরোনো শাসন’ প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোখের আহ্বান জানিয়েছে।