সূচকের পতন ঠেকাল ব্যাংক

আজকের বাজার প্রতিবেদন
উত্থান-পতন পুঁজিবাজারের সার্বক্ষণিক সঙ্গী বলা যায়। মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণও দেখা যায়। সম্প্রতি এমনই এক অস্বাভাবিক অবস্থার মধ্যেও পতন ঠেকিয়েছে ব্যাংক বিভাগ।
গত মঙ্গলবার সকালে সূচকের ৪০ পয়েন্ট উত্থান হলেও দিনশেষে ৪ পয়েন্ট পতন হয়। এটি মোটেও স্বাভাবিক ছিল না। ব্যাংক খাত ছাড়া বাকি সব খাতে ছিল বিক্রির চাপ। দিনশেষে লেনদেন এক হাজার ৫২৫ কোটি টাকা হলেও এদিন বাজার সার্বিকভাবে নেতিবাচক প্রবণতায় ছিল। সকালে ব্যাংক খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়িয়ে অনেকেই মুনাফা তুলে নিয়েছেন। কারণ গত কয়েক দিন ধরে ব্যাংক খাত বেশ গতিশীল অবস্থানে ছিল। সব শেয়ারের দর ৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। মুনাফা তুলে নিয়ে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে অনেকেই এ খাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন। ব্যাংক খাতের পেছনে যারা কলকাঠি নেড়েছেন, তারা এখন ধীরে ধীরে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন।

মঙ্গলবার ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে মোট লেনদেনের প্রায় অর্ধেক বা ৪৬ শতাংশ। এ খাতে লেনদেন হয় ৬৪০ কোটি টাকা। বাজারে নেতৃত্ব দেওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ৯টি ছিল ব্যাংক। বাকি একটি আর্থিক খাতের কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। শেয়ারটির দর সংশাধন হয়েছে। এই ১০ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয় ৪০০ কোটি টাকার। গতকাল এনবিএল এককভাবে লেনদেন করে ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার। ফার্স্ট সিকিউরিটি ৫০ কোটি, আল-আরাফাহ্ ব্যাংক ৪৩ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংক ৪০ কোটি, লংকাবাংলা ৩৯ কোটি, মার্কেন্টাইল ৩৫ কোটি, ওয়ান ব্যাংক ৩৫ কোটি, প্রাইম ব্যাংক ৩২ কোটি, এবি ব্যাংক ৩১ কোটি ও ইউসিবির ৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
এদিন সূচকে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে গ্রামীণফোন। জিপির দর কমেছে ছয় টাকা। এতে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ১৩ পয়েন্ট। একইভাবে স্কয়ার ফার্মার কারণে ৬ পয়েন্ট ও আইসিবির কারণে ২ পয়েন্ট নেমে যায় সূচক। গতকাল অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ার ঊর্ধ্বমুখী না থাকলে সূচকের ৫০ পয়েন্টের বেশি পতনের সম্ভাবনা ছিল।

এক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ার পর পুঁজিবাজার সংশোধন পর্যায়ে চলে এসেছে। পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক ধর্মই সংশোধন হওয়া। আর ব্যাংক খাত না বাড়লেই বাজারে বড় ধরনের সংশোধন হতে পারে। তাই সামনে হিসাব-নিকাশ করে লেনদেন করে নিজ পুঁজি সুরক্ষিত রাখুন।