সেবা খাতে ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব

সেবা খাতে ভ্যাটের হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের এফবিসিসিআই এর সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।

মঙ্গলবার ২৫ এপ্রিল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে নতুন মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ বাস্তবায়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এনবিআরকে এ প্রস্তাব করেন তিনি।

মাতলুব বলেন, সেবা খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিলে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। যেমন আইনজীবী, চিকিৎসক; তারা তো কোনো পণ্য সরবরাহ করছে না। তারা মেধা ও শ্রম ব্যয় করছেন। সেজন্য এ খাতের জন্য ভ্যাট কমানোর আলাদা চিন্তা করা দরকার। প্রথমবার আমরা দেখতে পেলাম এনবিআর ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস করছেন। এখন আর কারখানার পণ্য দাম ভ্যাট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কিয়ার করে আনতে হবে না। এখন ব্যবসায়ীরা তার পণ্য মূল্য ঘোষণা দেবেন। এর মাধ্যমে এনবিআর-ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টি হবে। বিশ্বাস তৈরি হলেই ব্যবসায়ীরা এগিয়ে যেতে পারবে। আগে আমরা এদিক ওদিক করে থাকলেও এনবিআর যেহেতু আমাদের বিশ্বাস করছেন তার মর্যাদা দেব।

তিনি বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে এনবিআর হয়রানি সরিয়ে দিচ্ছেন। আমরা বারবার বলে আসছি ১ টাকা ট্যাক্স দিতে ৩ টাকার হয়রানির শিকার হতে হয়। ভ্যাট অনলাইন চালু হলে সেখান থেকে মুক্তি পাবো বলে আশা করছি। ৮ লাখের মধ্যে ৩০ হাজার ব্যবসায়ী ভ্যাট দেয় এটা শুনতেও খারাপ লাগে, বলতেও লজ্জা লাগে। আমরা সবাই চায় ৮ লাখ রেজিস্ট্রেশন হলে ৮ লাখই ভ্যাট দেবে। সমস্যা কোথায়? সে সমস্যা সমাধানে ভ্যাট অনলাইন করা হয়েছে। এনবিআর থেকে বারবার বলা হচ্ছে, হয়রানি সরিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু মাঠে এ বার্তা পৌঁছাচ্ছে না। মাঠে হয়রানির বিষয়ে এনবিআরকে সর্তক থাকতে হবে। ভ্যাট অনলাইন চালু হলে আমাদের সাথে কর্মকর্তাদের দেখা হবে না।

আজকের বাজার: ২৫ এপ্রিল ২০১৭