স্কুলছাত্রী রিশা হত্যার বিচার শুরু

রাজধানীর উইলস লিটল ফাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশাকে (১৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে করা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর অষ্টম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ৮ মে মামলার স্যা গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন তিনি। এসময় মামলার একমাত্র আসামি ওবায়দুল খানকে আদালতে হাজির করা হয়। ওবায়দুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন বলেন, রিশা হত্যা মামলাটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছে। মামলায় ওবায়দুলকে একমাত্র আসামি করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলায় অন্য কারও সম্পৃক্ততা পাওয়ায় যায়নি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৫/৬ মাস আগে রিশা ও তার মা তানিয়া ইস্টার্ন মল্লিকা মার্কেটে বৈশাখী টেইলার্সে কাপড় সেলাই করাতে যান। এ সময় তার মা ওই দোকানের রসিদের রিসিভ কপিতে ফোন নম্বর দিয়ে আসেন। ওই টেইলার্সের কর্মচারী ওবায়দুল রিসিভ কপি থেকে ফোন নম্বর নিয়ে রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত। রিশার মা এ বিষয়ে ওবায়দুলকে শাসান করেছে বলেও জানা যায়।

গত বছরের ২৪ আগস্ট রিশা ও তার বন্ধু মুনতারিফ রহমান রাফি পরীা শেষে কাকরাইল ওভারব্রিজ পার হওয়ার সময় ওবায়দুল রিশাকে আবারও প্রেমের প্রস্তাব দেয়। রিশা তা প্রত্যাখ্যান করলে ওবায়দুল তাকে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় রিশাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট রিশা মারা যায়।
এ ঘটনায় ওবায়দুলকে গ্রেফতার ও বিচারে আন্দোলন শুরু করেন শিার্থীরা। শিার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৩১ আগস্ট ভোরে নীলফামারী থেকে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

পরে ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা সিএমএম আদালতে ওবায়দুলকে হাজির করে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড শেষে ৫ সেপ্টেম্বর ওবায়দুল রিশাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রিশাকে ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেন ওবায়দুল।
জবানবন্দি শেষে ওবায়দুলকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আজকের বাজার রিপোর্ট: আরআর/১৭.০৪.২০১৭