হাওরে নারী উদ্যোক্তা তৈরির সুপারিশ

‘হাওরবাসীর জীবন-জীবিকা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে হাওর এলাকায় নারী উদ্যোক্তা তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। তাছাড়া বন্যার আগাম সতর্কবাতার উন্নয়ন, দীর্ঘমেয়াদী কৃষিজ পরিকল্পনা গ্রহণ, বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘হাওর জীবন-জীবিকা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন-এর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

‘হাওরবাসীর জীবন-জীবিকা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ‘সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ (সি৩ইআর) এর ওয়াটার রিসোর্চ ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট প্রবাল সাহা। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সি৩ইআর নামের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘হাওরবাসীর জীবন-জীবিকা’ শীর্ষক এই গবেষণা পরিচালনা করে।

গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশে প্রবাল সাহা বলেন, হাওরবাসীর উন্নয়নে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে শিল্প কলকারখানা স্থাপন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়তা ও নদীভাঙন রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। এছাড়া দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, জলমহালগুলো প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাওর অঞ্চলের মানুষদের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেন, আমাদের যে পরিমাণ সম্পদ রয়েছে, তাদিয়ে ১৬ কোটি মানুষের জীবন মান উন্নয়ন সত্যিই খুব কঠিন কাজ। তবে আমাদের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলে যদি ঠিকঠাক মতো কাজ করি তাহলে অপচয় কম হবে। জিডিপি ২ % বাড়বে। তবে সকল কাজের আগেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে- আসলে আমাদের অগ্রাধিকার কোনটি। সেভাবে কাজ করতে পারলে দেশ উপকৃত হবে।

পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ দিয়ে গেছেন বলে, আমরা স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করতে পারছি।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, ৩০-৪০ বছর আগের তুলনায় হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবন-মান প্রভূত উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সময় হাওরাঞ্চলে বিদ্যুত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সরকারের সময় হাওড়ের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এমআর/