১৩ ও ১৪ মে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রসহ বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

আগামী ১৩ মে বৃহষ্পতি ও ১৪ মে শুক্রবারসহ কয়েকদিন সারাদেশে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহীনুল ইসলাম বাসসকে জানান,বৃষ্টিপাতের ফলে এই সময়ে সারাদেশে তাপপ্রবাহ হ্রাস পেতে পারে। সাধারণত:বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। ১৩ মে অর্থ্যাৎ ঈদের দিন দেশের বিভিন্নস্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরের দিন এই বৃষ্টিপ্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।
তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে নরম রোদ উঠলেও সকাল ৯ টা থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে হালকা থেকে মাঝারী ধরনের ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে,রাজশাহী বিভাগের তাড়াশে ৮০ মিলিমিটার,সাতক্ষীরায় ২৪ মিলিমিটার,কুমিল্লায় ২৩ মিলিমিটার,শ্রীমঙ্গলে ১৫ মিলিমিটার,পটুয়াখালী,মাদারীপুর ও সীতাকুন্ডে ১২ মিলিমিটার।
দেশে গত কয়েকদিনে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী ঝড় হয়ে থাকলেও আজ তেমন ছিলনা। হালকা থেকে মাঝারী ধরনের ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে।
সারাদেশে বৃষ্টিপাত হলেও গত ২৪ ঘন্টায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে,ময়মনসিংহে ৭৫ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ৬৬ মিলিমিটার, বদলগাছীতে ৬৩ মিলিমিটার, বগুড়ায় ৩৯ মিলিমিটার, ডিমলায় ৩৭ মিলিমিটার, নিকলীতে ৩৫ মিলিমিটার, নেত্রকোনায় ৩৪ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ৩২ মিলিমিটার, সৈয়দপুরে ৩০ মিলিমিটার এবং ঢাকায় ২৪ মিলিমিটার।
এদিকে চলতি মাসের স্বল্পমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,আট বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে, ঢাকায় ২৯২ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৩৮০ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৩১০ মিলিমিটার, সিলেটে ৫১০ মিলিমিটার, রাজশাহীতে ১৯৬ মিলিমিটার, রংপুরে ২৬১ মিলিমিটার, খুলনায় ১৭৫ মিলিমিটার এবং বরিশালে ২৬০ মিলিমিটার ।
এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে স্বল্পমেয়াদী আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।