২০১৯ সালের মধ্যেই প্রস্তুত হবে ৩০ অর্থনৈতিক অঞ্চল

কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নের চলমান প্রবৃদ্ধিকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইজেড) প্রতিষ্ঠার কাজ করছে সরকার।২০১৯ সালের মধ্যেই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে পড়তে শুরু করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী।

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে শুরু করবে কবে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে পবন চৌধুরী রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বাসসকে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মধ্যে অন্তত ৩০টি অঞ্চল পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এরপর ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন অঞ্চল এ তালিকায় যুক্ত হবে।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে প্রস্তুত হওয়া ওই অর্থনৈতিক অঞ্চল আমাদের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে শুরু করবে।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে বেসরকারি খাতের ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাক-যোগ্যতা সনদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত সনদ পেয়েছে।

বেজার নির্বাহী পরিচালক বলেন, চূড়ান্ত সনদ পাওয়া বেসরকারি খাতের তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে দুইটিতে (মেঘনা ও আমান) ইতোমধ্যে সিমেন্ট,কাগজ, প্যাকেজিং ও জাহাজ কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। উৎপাদন শুরু হওয়া এই শিল্প কারখানায় প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে।

তিনি জানান, এছাড়া আব্দুল মোনেম অঞ্চলটির প্লট বিনিয়োগকারীদের কাছে ইজারা দেওয়া শুরু হয়েছে। শিগগিরই সেখানকার কারখানাগুলোও উৎপাদনে যাবে।

মোংলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিগগিরই উৎপাদন শুরু হবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র আকারে শুরু হলেও আগামী বছরে উৎপাদন বড় পরিসরে দৃশ্যমান হবে।

এই কর্মকর্তা জানান ,চলতি বছর বেসরকারি খাতের আরও ২টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের চূড়ান্ত সনদ দেওয়া হবে বলে। এছাড়া এই সময়েই বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রাক-যোগ্যতা সনদ পাবে।

পবন চৌধুরী জানান,১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৭৬টি জায়গা নির্বাচন করা হয়েছে। বাকীগুলোও পর্যায়ক্রমে নির্বাচন করা হবে।

তবে যাচাই-বাছাইয়ের পর উপযুক্ত মনে হলেই কেবলমাত্র সেখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন,পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল পুরোপুরি প্রস্তুত করা গেলে,এতে এক কোটিরও বেশি মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪০ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার। আর তাতে ৪ হাজার কোটি টাকার রপ্তানি আয় নতুনভাবে যুক্ত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।