৩০ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ধ্বংস, ৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় : হাইকোর্টে প্রতিবেদন

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ঔষধ সংরক্ষণের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এ প্রতিবেদন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বাসসকে আজ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, প্রতিবেদনে বলা হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক হাজার ৪৩৭টি মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিরোধী অভিযানের সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলো। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আদালতে এ প্রতিবেদন দেয়।
২০১৯ সালের ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখা হয়। এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন ওই বছরের ১৭ জুন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।