৬০টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ চলছে

দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার ৬০টি পৌরসভায় শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট কোনো বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

বেশিরভাগ নির্বাচনী এলাকায় ভোটে অংশ নিয়েছে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি।

সারা দেশের ৬০টি পৌরসভার মধ্যে ২৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ৩১টিতে কাগজের ব্যালটে ভোট নেয়া হবে।

ভোটকেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পাঠানো হয় শনিবার সকালে এবং নির্বাচনী এলাকায় ইভিএম মেশিন পাঠানো হয় শুক্রবার।

সকল পৌরসভায় মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তবে বিএনপি সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই পদের জন্য লড়ছেন ৫৫টি পৌরসভায়। নির্বাচনে ১১-১২টি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী রয়েছে জাতীয় পার্টির।

ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন মেয়র প্রার্থী। তারা হলেন- পাবনার ভাঙ্গুরায় গোলাম হাসনাইন, পিরোজপুরে হাবিবুর রহমান মালেক এবং নারায়ণগঞ্জের তারাবো থেকে হাসিনা গাজী।

ভাঙ্গুরা, পিরোজপুর ও রূপগঞ্জের পাশাপাশি বিএনপির মেয়র প্রার্থী নেই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরসভায়।

মেয়র পদের জন্য দলীয় প্রতীকে ভোট অনুষ্ঠিত হলেও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিরপেক্ষ পদ্ধতিতে।

ষাটটি পৌর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২১৬ জন।প্রায় ২২ লাখ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাগেরহাটে, সকাল ৮টার দিকে শুরু হয় মোংলা পোর্ট পৌরসভার ভোটগ্রহণ। এই পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইভিএম ব্যবহার করে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা।

বাগেরহাট জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরাজী বেনজীর আহমেদ জানান, নিরাপত্তার মধ্যেই পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভায় উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল সাড়ে আটটার দিকে কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। এখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান।

গত ২২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ৬১টি পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র প্রার্থীর মৃত্যুর পর সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার যে ৬০টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে সেগুলো হলো- চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ও কেন্দুয়া, কুষ্টিয়ার কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা, মিরপুর ও কুমারখালী, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, নারায়ণগঞ্জের তারাব, শরীয়তপুরের শরীয়তপুর সদর এবং কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী। এছাড়াও রয়েছে গাইবান্ধার গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ, দিনাজপুরের দিনাজপুর সদর, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, মাগুরার মাগুরা সদর, ঢাকার সাভার, দিনাজপুরের বিরামপুর ও বীরগঞ্জ। নওগাঁর নজিপুর, পাবনার ভাগুড়া, ফরিদপুর, সাঁথিয়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর কাকনহাট, আড়ানী ও ভবানীগঞ্জভ সুনামগঞ্জের সুনামগঞ্জ সদর, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া, নাটোরের নলডাঙ্গা, গুরুদাসপুর ও গোপালপুর। বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও শেরপুর, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও বেলকুচি, সুনামগঞ্জের ছাতক ও জগন্নাথপুর, পিরোজপুরের পিরোজপুর সদর, মেহেরপুরের গাংনী এবং ঝিনাইদহের শৈলকুপা।

এছাড়াও ভোটগ্রহণ হচ্ছে খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের লামা, সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ ও রায়গঞ্জ, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি, কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সদর ও কুলিয়ারচর, নরসিংদীর মনোহরদী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, বগুড়ার সান্তাহার, নোয়াখালীর বসুরহাট ও বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায়।

সূত্র – ইউএনবি