৮৩ জন প্রবাসীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে

ভিয়েতনাম ও কাতার ফেরত ৮৩ জন প্রবাসীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাদেরকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে তুরাগ থানা পুলিশ তাদেরকে জিঞ্জাসাবাদ শেষে ঢাকার আদালতে পাঠিয়েছে। ডিএমপির তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন ও কাতার ফেরত ২ জন প্রবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিয়েতনাম ও কাতারে অবস্থানকালে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, ভিয়েতনাম থেকে তাদের অপরাধের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। সে কারণে ৮৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে (৫৪ ধারায়) গ্রেফতার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তুরাগ থানা পুলিশ জানায়, বিদেশে অবস্থানকালে তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে তারা জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনও জানতে পারিনি পুলিশ। তাই সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, ভিয়েতনাম ও কাতার থেকে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। আজ সন্দেহজনক হিসেবে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এরপর সোমবার তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হয়। এর মধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে মতে আজ মঙ্গলবার তাদের মধ্যে অভিযুক্ত ৮৩ জনকে পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হলে ৫৪ ধারায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান