৮ বছরে ৩ কোটি ৮৪ লাখ টন জ্বালানি আমদানি

বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগত ৮ বছরে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৩ হাজার ৬৯২ মেট্রিকটন জ্বালানি আমদানি করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আমদানিকৃত জ্বালানির মধ্যে রয়েছে ডিজেল, জেট-১, কেরোসিন, অকটেন, ফার্নেস অয়েল, ক্রুড অয়েল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত বজলুল হক হারুনের (ঝালকাঠি-১) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ এসব তথ্য জানান। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

তিনি জানান, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে, তা দেশের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট (৪০-৪৫ দিন। দেশে কোনো জ্বালানি তেলের ঘাটতি নেই।

শুধু সরকারি কর্মচারীদের গ্যাস সংযোগ দিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে

মো. সেলিম উদ্দিনের (সিলেট-৫) এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, চাহিদার সাথে গ্যাস উৎপাদন সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় বর্তমানে সরকার বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস সরবরাহ করছে এবং অন্যান্যখাতে গ্যাসের সংযোগ আপাতত বন্ধ আছে। অন্যদিকে বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানি সরবরাহের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গৃহস্থলীতে এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। গ্যাস ব্যবহারে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সকল চাকরিজীবী সমান দাবিদার। সুতরাং গ্যাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণকে পাশ কাটিয়ে শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারিদের নতুন গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা করলে বৈষম্যের সৃষ্টিসহ জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

১৩.২২ টিসিএফ গ্যাস মজুদ

মো. ছলিম উদ্দিন তরফদারের (নওগাঁ-৩) আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৩ হাজার ৪শ’ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে দৈনিক প্রায় দুই হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। বর্তমানে (জুলাই ২০১৬) প্রায় ১৩.২২ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে ৫৪টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ৩২টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২২টি কূপের ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সুত্র: দ্য রিপোর্ট