‌‌‌‌‌‌দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্মকর্তরা ব্যাংক শেষ করে দেয়

হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, বেসিকসহ ব্যাংকিং খাতে যতগুলো বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে- এসব ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও  ব্যাংকগুলোর মানবসম্পদ বিভাগ তা করতে পারেনি। শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতেই ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয়  নেমে এসেছে।

 বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ‘ব্যাংকিং খাতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, রাষ্ট্রয়াত্ত্ব বেসিক ব্যাংক এক সময় সেরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু দুর্নীতিবাজ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কারণে মাত্র ৩ বছরেই ব্যাংকটি শেষ হয়ে গেছে। বেসিক এবং সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের মতো দুর্নীতিপরায়ণ কাউকে নিয়োগ দিলে তারা ভালো ব্যাংককেও শেষ করে দেবে।

সরকারি ব্যাংকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পয়সা চুরি করে সাধারণ মানুষের করের টাকা দিয়ে মূলধন ঘাটতি পূরণ করা হয়। অথচ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় না। ব্যাংকের লভ্যাংশ সবার মাঝে ভাগ করে দেয়া উচিত কিন্তু  ব্যাংকের মালিকরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার ভাগাভাগির জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে ধরণা দিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সাবেক ডেপুটি গর্ভনর বলেন, আগে যেখানে ৬ মাস ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। এখন সেটা ১৫ দিনে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু ১৫ দিনে কোনো ফাউন্ডেশন কোর্স হতে পারে না। ব্যাংকিং খাতে কাগজে-কলমে নৈতিকতা থাকলেও বাস্তবে এর কোনো চর্চা নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, অনভিজ্ঞ কর্মকর্তা নিয়োগের কারণে ব্যাংকিং খাতে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে নতুন নতুন ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের পরিসর ও আকার বেড়েছে। কিন্তু দক্ষ কর্মকর্তার সংকট কাটেনি। প্রতি বছরই অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠছে।

আজকের বাজার:ডিএইচ